সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভালবাসা মানে না কোনও বাধা। মন বোঝে না কোনও অজুহাত। তাই তো একসঙ্গে দু’জনের মাথাতেও দেওয়া যায় সিঁদুর! দু’জনকেই একসঙ্গে বলা যায়, “তোমাদের দু’জনকেই ভালবাসি।”
হ্যাঁ, রুপোলি পর্দায় এসব দেখে অবাক হন অনেকেই। কিন্তু বাস্তবেও যে রয়েছে এমন দৃষ্টান্ত। যেখানে ভাগ করলেও এতটুকু কমে না ভালবাসা। তাই তো একইসঙ্গে দুই নারীর সঙ্গে সংসার পাতার স্বপ্নও দেখতে পারেন যুবক। এমনই এক অন্যরকম বিয়ের সাক্ষী হল ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) লোহারদাগা। একইসঙ্গে দুই তরুণীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিলেন এক যুবক। সবটা হল তিনজনের সম্মতিতেই।
[আরও পড়ুন: সিধু মুসেওয়ালার খুনিদের কাছে গ্রেনেড! এবার গুজরাট থেকে গ্রেপ্তার দুই শুটার]
জানা গিয়েছে, কুসুম লাকরা এবং শ্বাতী কুমারী নামের দুই পাত্রী প্রেমে পড়ে যান সন্দীপ ওরাওঁয়ের। সন্দীপও ভালবেসে ফেলেছিলেন দু’জনকেই। কিন্তু দু’জনকেই কি জীবনসঙ্গী হিসেবে পাওয়া সম্ভব? না, সে পথও ছিল বেশ মসৃন। বান্দা গ্রামে পাড়া, প্রতিবেশী এবং পরিবারের সদস্যদের সামনেই দুই পাত্রীকে বিয়ে করলেন সন্দীপ। তিনজনে একসঙ্গে সুখী জীবন কাটাতে প্রস্তুত তাঁরা। কেউই এ বিষয়ে কোনও আপত্তি জানাননি।
আসলে গত তিন বছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন সন্দীপ ও কুসুম। তাঁদের একটি সন্তানও আছে। গত বছর ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলায় ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে আসেন সন্দীপ। আর তখনই চিড় ধরে কুসুম ও সন্দীপের ভালবাসার সম্পর্কে। ঠিক সেই সময়ই সন্দীপের ভালবাসা নয়া মোড় নেয়। তাঁর সঙ্গে দেখা হয় শ্বাতীর। একইসঙ্গে কাজ করতেন তাঁরা। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে শ্বাতী ও সন্দীপের। কাজের বাইরেও দেখা করতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের পরিবার পর্যন্ত খবর পৌঁছে যায়। প্রথমে এই সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি হয়নি দুই পরিবারের সদস্যই। কিন্তু একে অপরকে ছেড়ে থাকা তাঁদের পক্ষে একেবারেই সম্ভব ছিল না। বহু, বচসা, তর্ক-বিতর্কের পর এ নিয়ে ফয়সলা করতে পঞ্চায়েত ডাকা হয়। সেখানেই শেষমেশ ঠিক হয়, দু’জনকেই বিয়ে করবেন সন্দীপ। পঞ্চায়েতের রায় নিয়ে এরপর আর কেউ আপত্তি করেননি। আর এতেই তিনজনের প্রেমেরই ঘটল হ্যাপি এন্ডিং।