সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: কিষানজির মৃত্যুবার্ষিকীর ঠিক আগে বাংলার দুই মাও নেতা-নেত্রীকে আদালতে আত্মসমর্পণ করার ঘোষণাপত্র জারি করল ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর আদালত। সিপিআই (মাওবাদী)-র আঞ্চলিক কমিটির সদস্য মদন মাহাতো ওরফে শংকর ও পুষ্পা ওরফে বর্ষা ওরফে শকুন্তলা ওরফে পরির বাড়িতে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকা। মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের পটমদা থানার পুলিশ পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থানা ও ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এই ঘোষণাপত্র দেয়।
বাংলার শীর্ষ মাও নেতা মদন মাহাতোর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি থানার করমাশোল গ্রামে। পুষ্পার বাড়ি ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি থানার মেচুয়া গ্রামে। এদিন এই দুই নেতা-নেত্রীর বাড়িতেই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। এক মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তাঁদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে ওই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা আছে। এদিন এই ঘোষণাপত্র দেওয়ালে লাগিয়ে দেওয়ার পর ডুগডুগি বাজিয়ে স্থানীয়দের বিষয়টা জানিয়ে দেয় ঝাড়খণ্ড পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ব্যান্ডওয়ালার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে স্বামীর সঙ্গে অশান্তি, ছেলের সামনে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মঘাতী’ বধূ!]
এই পুষ্পা সিপিআই (মাওবাদী)-র স্পেশ্যাল এরিয়া কমিটির মেম্বার অতুল মাহাতোর স্ত্রী। অতুল মাহাতোর নামে ২৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা রয়েছে। মদন মাহাতোর নামে ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে আগেই। মদন মাহাতো একে ৪৭-সহ নাইন এমএম পিস্তল নিয়ে মাও কার্যকলাপ চালায় বলে খবর।
মদন মাহাতোর নামে ঝাড়খন্ডের পটমদা থানায় ২০১৬ সালের জুলাই মাসে একটি মামলা করা হয়েছিল। ফেরার থাকায় আদালত এই ঘোষণাপত্র জারি করেছে। পুষ্পার নামেও ঝাড়খণ্ডে মামলা রয়েছে। এর আগেও ঝাড়খণ্ড পুলিশ আদালতের নির্দেশে সিপিআই (মাওবাদী)-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অসীম মণ্ডল ওরফে আকাশের নামে আদালতে আত্মসমর্পণ করার জন্য ঘোষণাপত্র জারি করেছিল। কিন্তু ওই মাও শীর্ষ নেতা এখনও মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত আছেন। কিষানজির মৃত্যুবার্ষিকীর ঠিক আগে দুই মাও নেতা-নেত্রীকে আদালতে আত্মসমর্পণ করার ঘোষণাপত্র নানা জল্পনা উস্কে দিয়েছে বাংলা-ঝাড়খণ্ডে।