ধীমান রায়, কাটোয়া: প্রেমের প্রস্তাব ফেরানোয় প্রতিহিংসার বশে মহিলার উপর অত্যাচার নতুন নয়। কখনও অ্যাসিড হামলা আবার কখনও খুনের চেষ্টার মতো ঘটনার উদাহরণও রয়েছে যথেষ্টই। তবে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য। কারণ, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানে বধূর ঠোঁট কামড়ে দিল যুবক। আহত বধূর ঠোঁটে চারটি সেলাই করেছেন চিকিৎসকেরা। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবক।
কেতুগ্রামের কাঁদরা গ্রামের মালিপুকুর পাড়ের বাসিন্দা ওই বধূ ও তাঁর পরিবারের লোকজন। বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধা শাশুড়ি। সকলেই পেশায় জনমজুর। আক্রান্ত বধূ পুলিশকে জানান পাড়ারই বাসিন্দা রঞ্জিত কোঁড়া বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁদের বাড়িতে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিল। বধূর দাবি,”আমি বাড়িতে থাকাকালীন রঞ্জিত উঁকিঝুঁকি দিত। এই নিয়ে আমার জা তাকে একাধিকবার সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু রঞ্জিত তাতে কর্ণপাত করেনি।” বধূ জানান তাকে একাধিকবার কুপ্রস্তাবও দিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক। তবে বারবারই প্রত্যাখ্যান করা হয় তাকে।
[আরও পড়ুন: Omicron: রাজ্যে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ, সংক্রমিত মুর্শিদাবাদের শিশু]
তাতেই প্রতিহিংসার শিকার হন ওই বধূ। গত সোমবার বিকেলে কাজ সেরে সবে বাড়ি ফেরেন ওই বধূ ও তাঁর জা। স্বামী, দেওর তখনও বাইরে। বাড়িতে বৃদ্ধা শাশুড়ি ও জা মিলে তিনজন ছিলেন। সেই সময় রঞ্জিত বাড়িতে ঢোকে। তাকে দেখেই কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বধূ। তিনি ও তাঁর জা রঞ্জিতকে বেরিয়ে যেতে বলেন। অভিযোগ, সেই সময় আচমকা বধূর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে রঞ্জিত। চুম্বনের ভঙ্গিতে চেপে ধরে তাঁকে। নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন বধূ। ঠোঁটে কামড় বসায় যুবক। তারপরেই ছুটে পালায় অভিযুক্ত।
বধূর জা প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি করেন। প্রতিবেশীরা বধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। কাঁদরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তারপর বধূ কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ জানান। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বুধবার আক্রান্ত বধূর গোপন জবানবন্দি নেয় আদালত।