সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানায় জননায়ক জনতা পার্টি এবং বিজেপির জোট কি ভাঙার পথে? অন্তত জেজেপি সুপ্রিমো দুষ্মন্ত চৌটালার কথায় তেমনই ইঙ্গিত মিলল। দুষ্মন্ত জানিয়ে দিলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে তাঁর দল হরিয়ানার ১০ আসনেই লড়াই করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিজেপির অন্দরেও খবর, জেজেপিকে (JJP) ছাড়াই আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করছে দল।
২০১৯ সালে ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় ৪০ আসন জেতে বিজেপি। পরে কয়েকজন নির্দল এবং জননায়ক জনতা পার্টির হাত ধরে সরকার গড়ে গেরুয়া শিবির। সঙ্গে যোগ দেন কয়েকজন নির্দল বিধায়কও। কিন্তু জননায়ক জনতা পার্টির সঙ্গে বিজেপির সেই সংসার সুখের হয়নি। কৃষি আইন থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক কুস্তিগিরদের বিক্ষোভ পর্যন্ত একাধিক ইস্যুতে দুই শিবিরের মতানৈক্য প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকী শোনা যাচ্ছে, জেজেপি এবং বিজেপি ২০১৯ লোকসভা তথা হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিচ্ছেদের পথে এগোচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ১৩ জুন সর্বদলীয় বৈঠক রাজ্য নির্বাচন কমিশনের]
জেজেপি সুপ্রিমো দুষ্মন্ত যেমন শুক্রবার বলে দিয়েছেন, “২০১৯ সালে রাজ্যকে স্থায়ী সরকার দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। তাই অমিত শাহর (Amit Shah) অনুরোধে আমরা বিজেপির (BJP) সঙ্গে সমঝোতা করি। জোট করে বিজেপি আমাদের উপর কোনও করুণা করেনি।” জেজেপি জানিয়ে দিয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ১০ আসনেই লড়তে চায় তাঁরা। এমনকী বিধানসভাতেও ৯০ আসনে লড়াই করার বার্তা দিয়েছেন দুষ্মন্ত চৌটালা। তিনি বলছেন, আমরা মাত্র ১০ আসনের দল হয়ে আলাদা করে থাকতে পারি না।
[আরও পড়ুন: স্টেশন সিল করে দুর্ঘটনার তদন্তে CBI, আপাতত কোনও ট্রেন থামবে না বাহানাগা বাজারে]
শুধু হরিয়ানা নয়, বিজেপির শরিকি অশান্তি শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রেও (Maharastra)। মারাঠাভূমে খোদ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডের ছেলে শ্রীকান্ত শিণ্ডে বলছেন, বিজেপির কিছু নেতা নিজেদের স্বার্থে জোটের ক্ষতি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে জোট নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বকে ভাবতে হবে। অর্থাৎ, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর ছেলেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন, আগামী দিনে জোট নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করবেন তাঁরাও।