সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী মাসেই এদেশে পাওয়া যেতে পারে জনসন অ্যান্ড জনসনের (Johnson & Johnson) করোনা (Coronavirus) টিকা (COVID vaccine)। তবে প্রাথমিক ভাবে তা অল্প পরিমাণেই পাওয়া যাবে দেশে। এক সূত্রের দাবি তেমনটাই। সেই সূত্রের দাবি, সরাসরি আমেরিকা থেকে ওই টিকা দেশে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে ‘দ্য অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথকেয়ার প্রোভাইডার্স’।
শোনা যাচ্ছে, জুলাইয়ের গোড়াতেই দেশে এসে পড়বে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা। তবে আপাতত কয়েক হাজার ডোজই আসবে। প্রসঙ্গত, এই টিকা ওয়ান ডোজ। অর্থাৎ একটি ডোজই যথেষ্ট। দাম পড়বে ২৫ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মূল্যে প্রায় ১ হাজার ৮৭৫ টাকা। জনসনের এই টিকার বিশেষত্ব হল, এটিকে হিমাঙ্কের নিচে বিশেষ তাপমাত্রায় সংরক্ষিত করে রাখার দরকার নেই। ভারতের মতো দেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই দিব্যি রাখা যায়।
[আরও পড়ুন: চশমা ছাড়া খবরের কাগজ পড়তে পারেননি হবু বর, বিয়েই ভেস্তে দিলেন কনে!]
WHO জানিয়েছে, মাঝারি মানের ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই টিকার কার্যকরী ক্ষমতা ৬৬.৩ শতাংশ। অন্যদিকে মারাত্মক থেকে অতি মারাত্মক সংক্রমণের ক্ষেত্রে তা কার্যকরী ৭৬.৩ শতাংশ। টিকাকরণের ২৮ দিনের পর থেকে হাসপাতালে যাওয়ার সম্ভাবনাও পুরোপুরি চলে যায়।
তবে এই টিকা নিয়ে বিতর্কও ঘনিয়েছে অতীতে। অভিযোগ উঠেছে, অনেক ক্ষেত্রে টিকা নেওয়ার পরে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন দেশ প্রশ্ন তুলেছে এই নিয়ে। গত ফেব্রুয়ারিতে আমেরিকায় আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহারের অনুমতি পায় জনসনের টিকা। কিন্তু এরপরই রক্ত জমাট বাঁধার অভিযোগ শোনা যায়। এদিকে গত মাসে ব্রিটেনে এই টিকা অনুমোদন পেলেও ডেল্টা স্ট্রেনের থেকে বাঁচতে হলে এই টিকা নেওয়ার পরেও বুস্টার নেওয়ার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: ‘দীর্ঘদিন বেতন পাই না,’ লাইভ অনুষ্ঠানেই চ্যানেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব সঞ্চালক]
গত জানুয়ারিতে দেশে টিকাকরণ শুরু হয়। প্রাথমিক ভাবে অনুমোদন পেয়েছিল কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন। পরে অবশ্য স্পুটনিক ভি-কেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার জনসন অ্যান্ড জনসনের এই টিকা জুলাইতেই দেশে চলে আসে কিনা।