বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বেঁধে দেওয়া গাইডলাইন মেনে কাজ হচ্ছে। নাকি এখনও গোষ্ঠীকোন্দল অব্যাহত। তা জানতে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder) তলব করলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। সোমবার দিল্লিতে সুকান্তর সঙ্গে রাজ্যের সংগঠন ও গাইডলাইন নিয়ে একান্তে কথা বলেন নাড্ডা। বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মানতে হবে বলে বঙ্গ বিজেপির সভাপতিকে নাড্ডা সাফ জানান বলে পদ্মশিবির সূত্রে খবর। সেই সঙ্গে হায়দরাবাদের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে রাজ্যের বাস্তব রিপোর্ট পেশ করারও নির্দেশ দেন বলে জানা গিয়েছে। দু’জনের মধ্যে বৈঠক নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি। তবে সংগঠন নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান।
বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দলের অন্দরে বাড়ছিল গোষ্ঠীকোন্দল। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুর্বল হচ্ছিল সাংগঠনিক ভিত্তি। পুরভোট ও উপনির্বাচনের ফলাফলে চোখ বোলাতে গিয়ে বঙ্গে দলের পরিস্থিতি টের পান অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা ও বি এল সন্তোষরা। তখনই বঙ্গ বিজেপিকে ঝাঁকুনি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। প্রথমে বাংলায় সফরে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন। রাজ্য নেতৃত্বের বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির আকাশপাতাল বুঝতে অসুবিধা হয়নি শাহর। ফিরেই সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গ সফরে যান নাড্ডা। দফায় দফায় বৈঠক করেন। সংগঠনকে ফের শক্ত জমির উপর দাঁড় করাতে গাইডলাইন বেঁধে দেন।
[আরও পড়ুন: খড়গপুরে শুটআউট, অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের ১০ রাউন্ড গুলিতে ঝাঁজরা তৃণমূল কর্মী]
দিল্লি ফিরে ডেকে পাঠান সুকান্ত, অমিতাভ চক্রবর্তীদের। রাজ্যের নেতৃত্ব কী চাইছে, তা-ও জানতে চান নাড্ডারা। বিজেপি সূত্রে খবর, কোন্দল মিটিয়ে বসে যাওয়া নেতা-কর্মীদের ফিরিয়ে আনা, দলের শৃঙ্খলা মেনে কাজ করার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন ও প্রতি সাংগঠনিক জেলায় নিয়মিত বৈঠক করে স্থানীয় নেতৃত্বের মনোভাব বোঝার নির্দেশ দেওয়া হয় বেঁধে দেওয়া গাইডলাইনে।
[আরও পড়ুন: সাময়িক স্বস্তি, দেশে করোনা সংক্রমণ কমল অনেকটা, অ্যাকটিভ কেসের বাড়বাড়ন্ত অব্যাহতই]
সেই নির্দেশ আদৌ পালন হচ্ছে কি না বা কতদূর এগিয়েছে, তা জানতেই সুকান্ত মজুমদারকে নাড্ডার তলব বলে সূত্রের খবর। সেই সঙ্গে হায়দরাবাদে দু’দিনের বৈঠকে বঙ্গের তরফে কী বলা হবে, তা-ও আগে থেকে সর্বভারতীয় সভাপতি জেনে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে সূত্রের খবর।