সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় দফা ভোটের হাওয়ায় ইস্যু হয়ে উঠছে বিভাজনের রাজনীতি। বৃহস্পতিবার যে অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) জবাবদিহি চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। ওই নোটিস যায় বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার (JP Nadda) কাছে। এবার সেই নাড্ডার বিরুদ্ধেও 'মুসলিম' শব্দ ব্যবহার করে মেরুকরণের অভিযোগ উঠল।
শুক্রবার মুম্বইয়ে মোদির ঢঙেই সংরক্ষণ নিয়ে কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোটকে তোপ দাগেন নাড্ডা। বিজেপি সভাপতি বলেন, 'কংগ্রেস এবং তাদের ‘ইন্ডি’ জোটের গোপন উদ্দেশ্য হল এসসি-এসটি এবং ওবিসিদের অধিকার কেড়ে নেওয়া এবং তা মুসলিমদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া।' নাড্ডা দাবি করেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, ‘দেশের সম্পদের উপর প্রথম অধিকার মুসলিমদের’, সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশের সম্পদের উপর গরিবদের অগ্রাধিকারের কথা বলেন। উল্লেখ্য, মনমোহনের আংশিক মন্তব্য মোদিই প্রথম টেনে আনেন। ভোটের সন্ধানে সেই একই পথে হাঁটলেন বিজেপি সভাপতি।
[আরও পড়ুন: NOTA সর্বোচ্চ ভোট পেলে বাতিল হবে নির্বাচন? কী বলছে সুপ্রিম কোর্ট?]
প্রসঙ্গত, ভোটের দফা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফিকে হচ্ছে উন্নয়নের প্রচার। 'মোদি গ্যারান্টি' উধাও। বড় হয়েছে উঠছে রামলালার মন্দির এবং হিন্দু-মুসলিম রাজনীতি। রাজস্থানের বাঁশওয়াড়ায় সভায় মনমোহনের মন্তব্য উল্লেখ করে মোদি বলেন, দেশবাসীর কষ্টের টাকা মুসলিম ও অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কংগ্রেস। এছাড়াও কর্নাটকের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবাসাহেব অম্বেদকর দলিত সমাজের পিছিয়ে থাকা অংশ এবং জনজাতির সংরক্ষণের অধিকার দিয়েছিলেন। কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া মুসলিমদের তা দিয়ে দিতে চায়।’ এহেন বক্তব্যের জেরেই জবাবদিহি চেয়ে বিজেপি সভাপতির কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। যদিও আশ্চর্যজনক ভাবে যাকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, সেই জেপি নাড্ডার ভাষণেও দেখা গেল হিন্দু-মুসলিম ইস্যু।