রমেন দাস: জুনিয়র বনাম জুনিয়রদের প্রকাশ্য লড়াইটা শুরু হয়ে গিয়েছিল গত সপ্তাহে। শনিবার জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের ডাকা গণ কনভেনশনের সময়ই আত্মপ্রকাশ করে জুনিয়রদের আরেকটি সংগঠন - ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। এই সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে 'থ্রেট কালচারে'র অভিযোগ রয়েছে। কলকাতা হাই কোর্ট তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে জানিয়েছিল, এখনই সাসপেন্ড করা যাবে না। এর পরই তাঁরা দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতোদের পালটা দুষে সংগঠনের ঘোষণা করে। এবার সেই সংগঠন ৮ দফা দাবিতে চিঠি দিল মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে। তাতে মূল দাবি, 'অভয়া'র নামে অনৈতিকভাবে যে টাকা তোলা হয়েছে, তার উৎস কী জানানো হোক এবং তার অডিট হোক।
জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক শ্রীশ চক্রবর্তী, প্রণয় মাইতিরা রবিবার রাতে মুখ্যসচিবকে মেল পাঠান। একাধিক দাবি রয়েছে তাতে। সামগ্রিকভাবে অভয়ার সুবিচার, হাসপাতালের নিরাপত্তা পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্য সরকারের সাহায্যের কথা বলার পাশাপাশি তাঁরা জোর দিয়েছেন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তহবিলের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখার দিকে। আগেও 'থ্রেট কালচারে'র অভিযোগ ওঠা এই ৫৩ জন চিকিৎসক বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। এবার মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তাকে মেল করেছেন তাঁরা। দাবি, অডিট করা হোক ওই অ্যাকাউন্টের। কারণ, 'অভয়া'র নামে তারা প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা তুলেছে বলে অভিযোগ।
মেলে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি করা হয়েছে জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে। রাজ্যের গঠিত টাস্ক ফোর্সে সব মেডিক্যাল কলেজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের রাখতে হবে এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে সেই কমিটি গড়তে হবে। তাদের আশঙ্কা, জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট এসব কমিটির ভিতরে নিজেদের প্রতিনিধিদের বসাতে পারে। তাতে স্বচ্ছতা বজায় নাও থাকতে পারে। সবমিলিয়ে শ্রীশ, প্রণয়দের ৮ দফা দাবি সম্বলিত চিঠি জুনিয়র ডাক্তারদের ভিতরকার ফাটল যেন আরও স্পষ্ট করে তুলল।