রমেন দাস: বহু টানাপোড়েনের পর অবশেষে আলোচনার টেবিলে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তার, মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সন্ধেবেলা ঘণ্টা দুয়েক ধরে কালীঘাটে, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ৪০ জন প্রতিনিধির বৈঠক তো হল, কিন্তু জট কি কাটল? কর্মবিরতি তুলে তাঁরা কি ফিরবেন কাজে? সে প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এখনও অধরা। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা জুনিয়র চিকিৎসক - রাত ৯টা পর্যন্ত কোনও পক্ষই মুখ খোলেনি। সূত্রের খবর, কালীঘাট থেকে সল্টলেক ফিরে তাঁরা ধরনা মঞ্চে থাকা সতীর্থদের সঙ্গে আলোচনা এবং গভর্নিং বডির বৈঠকের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আর তখনই বোঝা যাবে, কালীঘাটের আলোচনা আদৌ ফলপ্রসূ হল কি না।
সন্ধে প্রায় ৬টা ৪০ থেকে রাত ৮টা ৪৭ - সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এই সময়টা রাজ্য প্রশাসন ও আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিঃসন্দেহে। শর্ত, পালটা শর্ত, স্নায়ুযুদ্ধে কোনও পক্ষের পিছু না হঠা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে অবশেষে আলোচনার টেবিলে বসেছে দুপক্ষ। কথা বিনিময়েও কেউ যে সূচগ্র মেদিনী ছাড়েননি, তা আন্দাজ করা কঠিন নয় মোটেও। সূত্রের খবর, নিজেদের পাঁচ দফা দাবিতে অনড় থেকেই আলোচনা চালিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকদের ৪০ প্রতিনিধি। এছাড়া বৈঠকে আরও অনেক বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়। এই সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপিও তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দিয়েছেন। রাজ্য প্রশাসনের তরফে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি।
বৈঠক শেষ হয়ে গেলেও জুনিয়র চিকিৎসকরা আরও কিছুক্ষণ কালীঘাটের বাসভবনে ছিলেন। কারণ, পূর্ব শর্ত অনুযায়ী বৈঠকের কার্যবিবরণীতে সই করার কাজ চলে। আর সেটাই গুরুত্বপূর্ণ নথি আন্দোলনকারীদের তরফে। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট, কালীঘাটের বৈঠকের পরই কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কোনও সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ, জিবি বৈঠকের আগে এ বিষয়ে কোনও কিছু বলা প্রতিনিধিদের পক্ষে সম্ভব নয়।