রমেন দাস: কথামতো কাজ। সোমবার সকাল থেকে ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে যোগ দিলেন সিনিয়ররা। দুই মহিলা চিকিৎসক-সহ তিন চিকিৎসক সকাল থেকে প্রতীকী অনশন শুরু করেছেন। ধাপে ধাপে আরও ১০-১২ জন চিকিৎসকের যোগ দেওয়ার কথা। তাঁরা রিলে অনশন করবেন বলে সূত্রের খবর। তাঁদের দাবি, কোনও সংগঠন নয়, ব্যক্তিগত ইচ্ছাতেই এই কর্মসূচি পালন করছেন চিকিৎসকরা।
রবিবারই সিনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন 'জয়েন্ট ডক্টরস ফোরামে'র তরফে ডাক্তার সুবর্ণ গোস্বামী ঘোষণা করেছিলেন, ''এই আন্দোলনকে সমর্থন করি আমরা। এর পর জেলায় জেলায় শুরু হবে। আমরাও কাল থেকে অনশন শুরু করব। এই আন্দোলন বৃথা হবে না। প্রশাসনকে বার্তা দিতে হবে।'' সোমবার সকালে দুই সিনিয়র মহিলা চিকিৎসক কোয়েল মিত্র, শ্রাবণী চক্রবর্তী মঞ্চে এসে জুনিয়রদের সঙ্গে অনশন শুরু করলেন। এঁরা দুজন ছাড়াও রয়েছেন তাপস ফ্রান্সিস বিশ্বাস, মুনমুন কীর্তনিয়া। এঁরা সকলেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী বলে জানা গিয়েছে। পরে আরও অনেকে যোগ দিয়ে রিলে অনশন শুরু করবেন বলে খবর।
অনশনে যোগদান সিনিয়র ডাক্তারদের। নিজস্ব ছবি।
এদিকে, রবিবার রাত থেকে এই মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছেন 'অভয়া'র জন্য সুবিচারের দাবিতে আন্দোলনের অন্যতম মুখ জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো। তিনি আর জি করের চিকিৎসক। দীর্ঘ ৫৮ দিন ধরে টানা আন্দোলনের পর অনশনের প্রথম ধাপে কেন আর জি করের চিকিৎসকরা নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। রবিবার অনশনে যোগ দিয়ে তার জবাবও দিয়েছেন অনিকেতরা। ডাঃ দেবাশিস হালদার ও ডাঃ অনিকেত মাহাতো বলেন, “কেন আর জি করের কোনও জুনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশনে নেই, তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হচ্ছে। আমরা হয়তো ভুলে যাচ্ছি, আর জি করে সমস্যা একটা নয়। যে থ্রেট কালচার নিয়ে এত কিছু, তার বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে।” কলেজে আন্দোলনের কাজে শামিল থাকায় শনিবার তাঁরা কেউ অনশনে যোগ দিতে পারেননি বলেও জানিয়ছিলেন।