সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ বছর হয়ে গেল। সুপ্রিম রায়ে রামমন্দির বিতর্কের অবসান হয়েছে। জাঁকজমক করে রামমন্দির নির্মাণও হয়েছে। অথচ, সুপ্রিম কোর্টের রায়েই যে মসজিদ নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল, সেই মসজিদ নির্মাণের কাজ একচুলও এগোয়নি। মসজিদ নির্মাণের জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার যে জমি দিয়েছিল, সেই জমিতে এখনও একটা ইটও গাঁথা হয়নি।
২০১৯ সালে অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায়ে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিল, হিন্দুদের ২.৭৭ একর জমির পাশাপাশি মুসলিম পক্ষকেও পাঁচ একর জমি দিতে হবে। অযোধ্যা জেলারই ধন্যিপুরে সেই জমি দেওয়া হয়েছিল। গত ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রামমন্দিরের। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছিলেন যজমানের ভূমিকায়। অথচ মসজিদ কাজ এখনও শুরুই হয়নি। মসজিদের প্রস্তাবিত জমি এখনও খাঁ খাঁ করছে। বাচ্চারা ক্রিকেট খেলছে।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে গিয়ে ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ, তৃণমূলের সাংসদ পদ ছাড়লেন জহর সরকার]
প্রায় চার বছর হতে চলল বাবরি মসজিদ গঠনের জন্য ট্রাস্ট তৈরি হয়েছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে মসজিদের নকশাও প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাবরি মসজিদের জন্য বরাদ্দ ৫ একর জমিতে নাকি একটি ইটও পাতা হয়নি! এর মূল কারণ টাকার অভাব। রামমন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে যে কোটি কোটি টাকা অনুদান এসেছে, মসজিদ নির্মাণের ক্ষেত্রে তার ছিটেফোঁটাও নেই। চার বছর পেরিয়ে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৯০ লক্ষ টাকা অনুদান মিলেছে। বাবরি মসজিদ ট্রাস্টের চিফ ট্রাস্টি জাফর ফারুকি স্বীকার করে নিয়েছেন, অযোধ্যার বিতর্কিত জমি না পাওয়ায়, মানুষের মধ্যে মসজিদ নিয়ে কোনওরকম আগ্রহ নেই। আমরা বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু বিশেষ লাভ হয়নি।
[আরও পড়ুন: ফের বিতর্কে নারায়ণ মূর্তি! ভালো মা-বাবা হওয়ার পরামর্শ দিতেই বাঁধল বিতর্ক]
ট্রাস্টের তরফে বলা হচ্ছে, মসজিদ এবং সেটার সঙ্গে যা যা বানানোর কথা ছিল, তাতে খরচ হবে কোটি কোটি টাকা। শুধু মসজিদ নির্মাণেই ৬-৭ কোটি টাকা খরচ হওয়ার কথা। সেই টাকাটাও তোলা যায়নি। তাছাড়া কর্মকর্তাদের মধ্যেও সেই উৎসাহ নেই। সেটাও মসজিদ নির্মাণে বিলম্ব হওয়ার অন্যতম কারণ।