সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'বিদ্রোহ আর চুমুর দিব্যি' দিয়ে বাংলা গানের নতুন গোত্র তৈরি করে দিয়েছেন তিনি। আজ যখন মেট্রো স্টেশনের যুগলের চুমু নিয়ে চারদিকে হইহই কাণ্ড আর 'রে রে' রব, তখন কবীর সুমনও জানালেন নিজের মতামত। যুগলের চুমু দেখে 'গানওয়ালা'ও ভেবেছিলেন, নিজের বান্ধবীদের প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার প্রস্তাব দেবেন।
ফাইল ছবি
বছরশেষে মেট্রোর চুমু নিয়ে এত হইচইয়ের জেরে ব্রেখটের কবিতা মনে পড়েছে ৭৬ বছরের শিল্পীর। এক সংবাদমাধ্যমে এবিষয়ে তিনি লিখেছেন প্রতিবেদন। তাতেই শিল্পী লেখেন, "...বুড়ো মানুষ হয়ে গিয়েছি, সেই ভাবে দেখতে গেলে। তারপরও এ সব দেখে ভেবেছিলাম, বান্ধবীদের বলব, চল তো আমরা চুমু খাই। দেখি তো কী হয়!"
সুমন জানান, তাঁর এই প্রস্তাবে বান্ধবীদের কোনও আপত্তি থাকত না যদি না তিনি তারকা হতেন। 'গানওয়ালা'কে চুমু খেলে খবরের কাগজে নাম প্রকাশ হয়ে যাবে এমনই যুক্তি তাঁদের। এ যুক্তি মানা যায় বলেই মত সুমনের। তাঁর বহু বান্ধবী। কিন্তু যুগল তো একে অন্যকে ভালোবেসেই ঠোঁটে ঠোঁট রেখেছিলেন। 'লোকদেখানো' চুমু তাঁরা খাননি। কবি-গায়কের কামনা, এভাবেই যেন সারাটা জীবন যুগল ভালোবাসা প্রকাশ করে যেতে পারেন।
ফাইল ছবি
হ্যাঁ, 'কুছ তো লোগ কহেঙ্গে', তা সে বলুক। সুমনের বক্তব্য, বিয়ের 'লাজাঞ্জলি' অর্থাৎ আগুনে খই ফেলার যে রীতি তাতে তো স্বামী সুন্দরভাবে স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন, সেই সময় দুই শরীর পরস্পরকে ছুঁয়ে যায়। তাতে তো কোনও আপত্তি থাকে না। খ্রিস্টান বিয়েতেও চুমু খাওয়ার রীতি রয়েছে। তাতেও কারও কোনও সমস্যা নেই। যেকোনও সময় মত্যুর সত্য আঘাত হানতে পারে।। তার আগে এই যে সময়, তাতে হানাহানির বদলে ভালোবাসাই থাক।