সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: রাজ্যে অমিত শাহর সফরের ঠিক আগেই নদিয়ার গয়েশপুরে বিজেপি (BJP) কর্মী বিজয় শীলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে সামনে রেখে আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়াতে চাইছে গেরুয়া শিবির। রবিবার সকালে ঘটনা নিয়ে দিনভর উত্তপ্ত ছিল এলাকা। সন্ধের পর রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আরেকপ্রস্ত অশান্তি ছড়ায়। তৃণমূল সমর্থকরা তাঁর উপর হামলার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন সাংসদ। এছাড়া দিনভর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঘটনায় নিয়ে বিজেপি নেতাদের তীব্র প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। তার মধ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র (Kailash Vijayvargyia) মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন বিমানবন্দরে তিনি বলেন, ”বিজেপির প্রভাব বাড়ছে রাজ্যে, তাই আতঙ্ক সৃষ্টি করতে খুন করা হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের।”
গত কয়েকদিনে রাজ্যে একাধিক বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে সরব বিজেপি। সদ্য বাগনানে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনা থেকে শুরু করে মল্লারপুরে পুলিশ লকআপে এক নাবালকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাতেও তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। আবার নদিয়ার গয়েশপুরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রবিবার উদ্ধার হয়েছে এক যুবকের দেহ। ওই যুবক বিজেপি কর্মী বলে দাবি করে তাকে খুন করা হয়েছে বলে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি নেতারা। রবিবার বিকেলে কলকাতায় ফিরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, ”এখানে পুলিশ প্রশাসনের অপরাধীকরণ-রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের খুন করে আত্মহত্যা বলা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: খুন করে ফের বিজেপি কর্মীর দেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, প্রতিবাদে সোমবার কল্যাণী বন্ধ]
আগামী ৫ তারিখ রাজ্যে পা রেখে বাঁকুড়ায় সাংগঠনিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। সেই বৈঠকের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে এদিন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অরবিন্দ মেনন বলেন,”পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র সুরক্ষিত নয়। খুনের পর খুন। গত কয়েক মাসে ১২০ জন বিজেপি কর্মীর খুন হয়েছে। রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন শাসক দলের ‘বি’টিম হিসাবে কাজ করছে। রাষ্ট্রপ্রতি শাসন হলেই এ রাজ্যে মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোট দান করতে পারবেন।”