অর্ণব আইচ: অসুস্থতার কারণে প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার আদালতে হাজিরাই দিতে পারলেন না সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। যে কারণে আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল সিবিআইকে। সব শুনে আগামী ২৮ নভেম্বর তাঁকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জেলবন্দি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতে তোলার জন্য আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। মঙ্গলবারই দুজনকে আদালতে তোলার নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশালে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছিল সিবিআই। সেই মামলাতেই এদিন কালীঘাটের কাকুকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু অসুস্থতার জন্য তিনি পৌঁছতে না পারায় সিবিআইকে তীব্র ভর্ৎসনা করা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁকে পেশের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে ধৃত হুগলির বলাগড়ের বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কে হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় মঙ্গলবার জামিন পেয়েছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকালে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের বেঞ্চ ১০ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করে। বেশ কয়েকটি শর্তে জামিন দেওয়া হয়েছে শান্তনুকে। তবে জামিন পেলেও শান্তনুর জেলমুক্তি হল না। কারণ এদিনই তাঁকে এবং সন্তুকে হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই। তবে কালীঘাটের কাকুকে নিজেদের হেফাজতে পাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশায় কেন্দ্রীয় সংস্থা।
আসলে প্রাথমিক দুর্নীতিতে ইডির করা মামলায় জামিনের আর্জি জানান কালীঘাটের কাকু। সেই মামলার শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত। তবে যদি বিচারপতি তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন, তবে তদন্তের গতি শ্লথ হয়ে যেতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই সুজয়কৃষ্ণ এবং শান্তনুকে আদালতে তোলার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু সন্তু ও শান্তনুকে হেফাজতে পেলেও সুজয়কৃষ্ণ এদিন আদালতেই আসতে পারলেন না।