সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কঙ্গনার 'এমার্জেন্সি' ছবির মুক্তি নিয়ে নানা টালবাহানা। জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের তরফে নির্মাতাদের বেশ কিছু দৃশ্য বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিছু দৃশ্যে সতর্কীকরণ উল্লেখ করার নির্দেশও রয়েছে। বিশেষ করে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর দৃশ্যায়নে। তবে সেন্সর বোর্ডের তরফে U/A সার্টিফিকেট মিললেও কবে এই সিনেমা মুক্তি পাবে? সেটা এখনও ঘোষণা করা হয়নি নির্মাতাদের তরফে। তবে এরই মাঝে আচমকাই মুম্বইয়ের বাংলো বিক্রি করে দিলেন কঙ্গনা। সূত্রের খবর, কঙ্গনা তাঁর এই বাংলো বিক্রি করেছেন ৩২ কোটি টাকায়। এই বাংলোটি কঙ্গনা কিনেছিলেন ২০১৭ সালে। যার দাম ছিল ২০ কোটি টাকা। সেই বাংলোই কঙ্গনা বেচে দিলেন ৩২ কোটিতে। এই বাংলোতেই তৈরি হয়েছিল কঙ্গনার প্রযোজক সংস্থার অফিস।
'এমার্জেন্সি'র রিলিজ নিয়ে জলঘোলার অন্ত নেই। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশনের তরফে নির্মাতাদের বেশ কিছু দৃশ্য বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিছু দৃশ্যে সতর্কীকরণ উল্লেখ করার নির্দেশও রয়েছে। বিশেষ করে ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোর দৃশ্যায়নে। তবে সেন্সর বোর্ডের তরফে U/A সার্টিফিকেট মিললেও কবে এই সিনেমা মুক্তি পাবে? সেটা এখনও ঘোষণা করা হয়নি নির্মাতাদের তরফে। জুলাই মাসের ৮ তারিখেই নাকি সেন্সর রিভইউয়ের জন্য জমা পড়েছিল ‘এমার্জেন্সি’। তবে তার মাঝেই শিখ সম্প্রদায় একগুচ্ছ দাবি তুলে নিষিদ্ধ করার ডাক দেয়।
‘শিরোমনি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’, অস্ট্রেলিয়া শিখ কাউন্সিলের তরফে দিন কয়েক আগেই ‘এমার্জেন্সি’ (Emergency) ছবিটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই শিরোমণি অকালি দলের তরফে আপত্তি উঠেছিল। সোজা সেন্সর বোর্ডের কাছে চিঠি পাঠিয়ে কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut) ‘এমার্জেন্সি’ মুক্তি আটকানোর আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। সেই বিতর্কের জেরেই এবার পিছিয়ে গেল ‘এমার্জেন্সি’র মুক্তি। তবে পরবর্তীতে কবে মুক্তি পাবে? সেকথাও ঘোষণা করা হয়নি নির্মাতাদের তরফে।
[আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানির অভিযোগে আরও বিপাকে অরিন্দম শীল! এবার থানায় দায়ের অভিযোগ]
শিরোমণি অকালি দলের অভিযোগ, “ছবিটি ভুয়ো তথ্যে ভরা এবং ‘এমার্জেন্সি’ মুক্তি পেলে সাম্প্রদায়িক হানাহানি হতে পারে।” বুধবার সংশ্লিষ্ট দলের সভাপতি পরমজিৎ সিং স্বর্ণ সেন্সর বোর্ডের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দাবি করেছেন, “কঙ্গনার সিনেমার ট্রেলার দেখেই বোঝা গিয়েছে, যে এটি ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃত করে শুধু সমগ্র শিখ সম্প্রদায়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে না, বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও নষ্ট করবে। সমাজে ঘৃণা ছড়াবে ‘এমার্জেন্সি’। এই সিনেমায় তুলে ধরা ভুল তথ্য পাঞ্জাবের সামাজিক জীবন সম্পর্কেও দর্শকের কাছে নেতিবাচক মনোভাব ছড়িয়ে দেবে। তাই অবিলম্বে সিনেমাটির মুক্তি আটকান।” এর আগে এই একই অভিযোগ এনে ‘এমার্জেন্সি’ বয়কটের ডাক দিয়েছিল ‘শিরোমনি গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটি’ সভাপতি হরজিন্দর সিং ধামি এবং অস্ট্রেলিয়া শিখ কাউন্সিল। তাঁদের অভিযোগ, কঙ্গনার এই ছবিতে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে বিচ্ছিন্নতাকামী হিসেবে দেখানো হয়েছে। এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। উপযুক্ত পদক্ষেপের জন্য আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকে।
এমনিতেই এর আগে শিখ বিরোধী মন্তব্য করায় পাঞ্জাবে গিয়ে শিখ সম্প্রদায়ের রোষানলের মুখে পড়েছিলেন কঙ্গনা। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছিল। এবার ‘এমার্জেন্সি’ মুক্তির আগেও সেই একই বিপাকে পড়লেন কঙ্গনা রানাউত। এদিকে শ্রীঅকাল তখত সাহিবের তরফেও সেন্সর বোর্ডের কাছে চিঠি পাঠিয়ে সিনেমা মুক্তি বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছে। এদিকে কঙ্গনা রানাউত বরাবরই বিতর্কে পাত্তা দেন না। ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যায় কহেনা!’, বরাবরই এমন দর্শনে বিশ্বাসী । আর তাই তো ‘এমার্জেন্সি’ মুক্তির আগে শত বিতর্ককে পাত্তা না দিয়ে নিজের মতো করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এই সিনেমা রিলিজের আগে যেভাবে জলঘোলা হচ্ছে, তাতে এই ছবির ক্ষেত্রেও মুক্তি পিছলেও কি কঙ্গনা রানাউত বক্স অফিসে হিটের মুখ দেখতে পারবেন? নজর থাকবে সেদিকে।