সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৩ প্রজাতির কুকুরকে ‘হিংস্র’ তকমা দিয়ে তাদের বিক্রি ও প্রজননে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র। বুধবার মোদি সরকারের ওই নির্দেশিকা খারিজ করল কর্নাটক হাই কোর্ট (Karnataka High Court)। এদিন আদালত জানায়, ‘হিংস্র’ কুকুর নিষিদ্ধ করার আগে পোষ্যের মালিক এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে সরকারকে। পাশাপাশি আদালত এও জানায় যে পোষা প্রাণী কাউকে আহত করলে তার জন্য মালিকই দায়ী থাকবেন। এমনকী চিকিৎসার খরচও বহন করতে হবে তাঁকে।
১৩ মার্চ এক নির্দেশিকায় কেন্দ্র জানায়, এই প্রজাতির যে কুকুরগুলোকে পোষা হচ্ছে, সেগুলোর নির্বীজকরণও করাতে হবে। তালিকায় থাকা কুকুরগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রজাতিও রয়েছে। পিটবুল, টোসা ইনু, আমেরিকান স্ট্যাফোর্ডশায়ার টেরিয়ার, ফিলা ব্রাজিলেরো, ডোগো আর্জেন্টিনো, আমেরিকান বুলডগ, বোরবোয়েল ক্যাঙ্গাল, মধ্য এশীয় শেফার্ড ও ককাসিয়ান শেফার্ডের মতো ২৩টি প্রজাতি রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে, সারপ্ল্যানিনাচ, জাপানিজ় তোসা, আকিতা, সাউথ রাশিয়ান শেপার্ড, টর্নিয়াক, ম্যাস্টিফ, রোজেশিয়ান রিজব্যাক, উল্ফ ডগ, ক্যানারিয়ো, আকব্যাশ ডগ, মস্কো গার্ড ডগ, কেন করসো এবং ব্যানডগ।
[আরও পড়ুন: মতুয়া গুরুর নামে শপথ নেওয়ায় রাজ্যসভায় বাতিল শপথবাক্য, বিস্ফোরক মমতাবালা]
কেন্দ্রীয় মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রক জানিয়েছিল, সারা দেশের বিভিন্ন নাগরিক মঞ্চ, পশুকল্যাণ সংস্থা প্রস্তাব দিয়েছিল, বেশ কয়েকটি প্রজাতির কুকুরের প্রজনন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করতে হবে। এই বিষয়ে দায়ের হয়েছিল মামলাও। যার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে কেন্দ্র একটি প্যানেল গঠন করেছিল। সেই প্যানেলই ২৩টি প্রজাতিকে ‘হিংস্র’ প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। ওই প্রজাতির কুকুরগুলোর বিক্রি, প্রজনন, রপ্তানি কিছুই করা যাবে না বলে জানায় কেন্দ্র। ওই নির্দেশিকায় ২৩ প্রজাতির কুকুরকে বলা হয়ে- 'মানুষের জন্য বিপজ্জনক'।
[আরও পড়ুন: কারা ব্রিটিশদের সঙ্গ দিয়েছিল? ‘মুসলিম লিগ’ কটাক্ষের পালটা মোদিকে ইতিহাস পাঠ রাহুলের]
উল্লেখ্য, গোটা দেশে পোষ্য কুকুরের কামড়ে আহত হওয়ার একাধিক ঘটনার পরেই পিটবুল-সহ ২৩ প্রজাতির কুকুরের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। এমনকী কুকুরের হামলায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল। যদিও পোষ্যের মালিক এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কেন্দ্রের নির্দেশিকা খারিজ করল কর্নাটক হাই কোর্ট।