সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ শপথ নিলেন ঈশ্বরের নামে, কেউ আল্লাহর নামে, বাদ গেলেন না গৌতম বুদ্ধও। কর্ণাটকের নতুন মন্ত্রিসভার শপথের অনুষ্ঠান যেন সর্বধর্ম সমন্বয়ের মঞ্চ।
কর্ণাটকে জয়ের পর রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেছিলেন, “কর্ণাটক মে নফরত কি বাজার বন্ধ হো চুকে হ্যায়, অর মহব্বতকে বাজার খুল চুকা হ্যায়।” যার বাংলা তরজমা করলে দাঁড়ায়, ‘কর্ণাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়েছে। ভালবাসার দোকান খুলে গিয়েছে।’ বস্তুত রাহুল ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় বেরিয়েছিলেন ধর্মে ধর্মে হানাহানি রুখে সব ধর্মের মধ্যে সমন্বয় গড়তে। গোটা রাজ্যে সেই সমন্বয় দেখা যাবে কিনা এখনই বলা যাচ্ছে না, মন্ত্রিসভায় অন্তত সব মতের সেই সমন্বয় চোখে পড়েছে।
[আরও পড়ুন: টকে গিয়েছে একটি মাত্র দইয়ের ভাঁড়! বাংলাদেশের বিয়েবাড়িতে লড়াইয়ে জখম ১৫]
কর্ণাটকে সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) এবং শিবকুমারের সঙ্গে মোট ৮ বিধায়ক শপথ নিয়েছেন। সিদ্দা নিজে শপথ নিয়েছেন ঈশ্বরের নামে। শিবকুমার শপথ নেন নিজের আধ্যাত্মিক গুরু গঙ্গাধর আজ্জার নামে। মন্ত্রীদের মধ্যে সতীশ জারকিহলি গৌতম বুদ্ধ এবং আম্বেদকরের নামে, এবং জামির আহমেদ খান আল্লার নামে শপথ নিয়েছেন। বর্ষীয়ান কংগ্রেস (Congress) নেতা রামালিঙ্গা রেড্ডি কারও নামই নেননি শপথের সময়। বাকি চার মন্ত্রী ঈশ্বরের নামে শপথ নিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে আগরতলা মাত্র ৬ ঘণ্টায়! ঢাকা ছুঁয়ে চালু হচ্ছে নতুন রেলপথ]
সিদ্দারামাইয়া শপথ নেওয়ার পরই ভোটের আগে দেওয়া পাঁচ প্রতিশ্রুতি পূরণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। কিন্তু বিজেপি বলছে, ভোটের আগে যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, আর শপথের পর মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া যা ঘোষণা করেছেন, তার মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক আছে। বিজেপির তামিলনাড়ুর প্রধান কে আন্নামালাই দাবি করেছে, “কর্ণাটকের এই সরকার এক বছরের মধ্যে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। ২০২৪-এর আগে যদি শিবকুমার (DK Shivkumar) এবং সিদ্দারামাইয়া লড়াই না করেন, তাহলে ওদের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া উচিত।”