সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmirir Pandit) হত্যার ঘটনা বৃদ্ধিতে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) নেতা ফারুক আবদুল্লা (Farooq Abdullah)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, সরকার এখনই কোনও পদক্ষেপ না করলে কাশ্মীর হিন্দুহীন হয়ে যাবে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ফারুককে বলতে শোনা যায়, “যদি এই বিষয়ে অবিলম্বে কিছু করা না হয়, তাহলে আগামী দিনে কাশ্মীর ১০০ শতাংশ হিন্দুহীন হয়ে যেতে পারে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য নব্বইয়ের দশকের মতো পরিস্থিতি ফিরে এসেছে। এই হত্যালীলার জন্য আমি দায়ী নই। সন্ত্রাসের পক্ষে আমি কোনও মন্তব্য করিনি।”
[আরও পড়ুন: ভাইফোঁটায় নয়া সমীকরণ? ৬ বছর পর ফোঁটা নিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে মুকুল, গেলেন শোভন-বৈশাখীও]
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ফারুক। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং অমিত শাহের উচিত অবিলম্বে বিষয়টি খতিয়ে দেখা। একই সঙ্গে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ‘টার্গেট কিলিং’ এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের কাশ্মীর ত্যাগের বিষয়ে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকাও প্রয়োজন।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চৌধরিগুন্ড এলাকায় পুরান কৃষাণ ভাটের হত্যার পর দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান থেকে দশটিরও বেশি কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবার উপত্যকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে কাশ্মীরে একের পর এক ‘টার্গেট কিলিং’ -এর সাক্ষী হয়ে আসছে। নিহতদের অনেকেই পরিযায়ী শ্রমিক বা কাশ্মীরি পণ্ডিত।
[আরও পড়ুন: ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে ফোন মোদির, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কথা দুই রাষ্ট্রনেতার]
কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খর্ব হওয়ার পর গত কয়েক বছরে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ‘টার্গেট কিলিং’ বাড়ছে। ফলে আরও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন উপত্যকার সংখ্যালঘুরা। সম্প্রতি রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছে তাঁদের। তাঁদের দাবি, পুলিশ প্রশাসন তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। বছরের পর বছর ধরে তাঁরা নিপীড়িত। এবার পরিস্থিতি সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।