সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেবারে মিথ্যা অভিযোগ! কেরলের এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার বিরুদ্ধে আদালতে পালটা মামলা করলেন সানি লিওনি। সঙ্গে সংস্থার এক কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআরও করেছেন সানি।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েক মাস আগেই। কেরলের এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা সানি লিওনি ও তাঁর স্বামী ড্যানিয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল, যে সানি এক অনুষ্ঠানের জন্য পারিশ্রমিক নিয়েও হাজির হননি। শুধু অভিযোগ তুলেই ক্ষান্ত থাকেনি এই সংস্থা। সানি ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে কেরল হাই কোর্টে মামলাও করেছিলেন। বুধবার সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয় কেরল হাই কোর্ট। আদালত জানায় পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত সানির বিরুদ্ধে কোনও রকম কঠিন পদক্ষেপ করা যাবে না।
অন্য়দিকে, সানি ও তাঁর স্বামী ড্যানিয়েলের নামে মিথ্যা অভিযোগ তোলায় কেরল হাই কোর্টে পালটা মামলা করলেন সানি লিওনি।
[আরও পড়ুন: নীরব মোদির চরিত্রে সুুনীল শেট্টি! ‘ফাইল নম্বর ৩২৩’ ছবিতে নতুন অবতারে অভিনেতা]
সানির দাবি, তিনি নির্দোষ। পারিশ্রমিক নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু এই মামলার ফলে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আদালতের কাছে অভিনেত্রী আবেদন করেন, সংশ্লিষ্ট মামলার অভিযোগকারীদের কোনও ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এই ঘটনার পর তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।
সম্প্রতি কর্ণাটকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডে সানি লিওনির ছবি ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। গত মঙ্গলবার বিকেলে অ্যাডমিট কার্ডটি টুইটারে শেয়ার করেছেন বিআর নায়ডু। বিজেপি শাসিত রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশকে ট্যাগ করে তিনি কন্নড় ভাষায় লেখেন, “শিক্ষক নিয়োগের অ্যাডমিট কার্ডে পরীক্ষার্থীর ছবির বদলে সানি লিওনির অশ্লীল ছবি ছাপিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। যে দলের সদস্যরা বিধানসভার ভিতরে পর্নফিল্ম দেখে সেই দলের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি আর কীই বা পাওয়ার থাকতে পারে?”
কংগ্রেস নেতার করা এই টুইটেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে যায়। কেউ কর্ণাটকের শাসক দল হিসেবে বিজেপিকে একহাত নেন, কেউ আবার মশকরায় মাতেন। কয়েকজন আবার ছবিটিকে ভুয়ো বলেও দাবি করেন।
তবে বিআর নায়ডুর টুইটের জবাব দিতে গিয়ে কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ জানান, অ্যাডমিট কার্ডের ছবি পরীক্ষার্থী আপলোড করেন। সিস্টেমে যে ছবি আপলোড হয় তাই ফাইলের সঙ্গে অ্যাটাচ হয়ে যায়। যে পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড ভাইরাল হয়েছে। তাঁর দাবি, স্বামীর এক বন্ধুকে দিয়ে তিনি শিক্ষক নিয়োগের ফর্ম ফিলাপ করিয়েছিলেন। গোটা বিষয়টির তদন্ত হবে। দায়ের করা হবে এফআইআর। এমনটাই জানানো হয়েছে কর্ণাটকের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে।