সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলের কাছে থাকেন ৯২ বছরের বৃদ্ধ। একা পুরনো বাড়িতে থাকেন ৮০ বছরের বৃদ্ধা। সম্প্রতি অসুস্থ স্বামীকে নিজের কাছে ফেরাতে আদালতের দ্বারস্থ হন বৃদ্ধা। এই মামলায় জীবন সায়হ্নে পৌঁছানো দম্পতিকে একসঙ্গে থাকার অনুমতি দিল কেরল হাই কোর্ট (Kerala High Court)। অবিলম্বে যেন এই নির্দেশ কার্যকর হয়, পুলিশ ও ছেলেকে বলল আদালত।
বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা দুজনেই। আদলতে বৃদ্ধা আবেদন করেন, জীবনের শেষ কটা দিন একসঙ্গে থাকতে চান। যদিও ছেলে দাবি করে, পারিবারিক অশান্তির কারণেই বাবাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। পুরনো বাড়িতে ফিরলে প্রতিবেশীরা হামলা চালাতে পারে। তিনি আরও যুক্তি দেন, ৮০ বছরেরর মা কীভাবে ডিমেনশিয়ায় ভোগা বাবাকে দেখভাল করবেন! তাছাড়া মাকেও তিনি নিজের কাছে আসতে বলেছিলেন। তিনি পুরনো বাড়ি ছাড়তে রাজি হননি।
[আরও পড়ুন: ‘নতুন ভারতের শিল্পকার’, দেশের প্রথম রিজিওনাল র্যাপিড ট্রেনের সূচনা, মোদিকে কুর্নিশ যোগীর]
যদিও আদালত ছেলের যুক্তি শুনতে রাজি হয়নি। কেরল হাই কোর্টের বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রনের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, বৃদ্ধ দম্পতি একসঙ্গে থাকবেন। ছেলেও সেখানে গিয়ে থাকতে পারেন অথবা মাঝেমাঝে গিয়ে দেখভাল করে আসবেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওঁরা একসঙ্গে থাকলে মানসিকভাবে ভালো থাকবেন। যদিও যুবক দাবি করেন, আদতে বোনের ইন্ধনেই আদালত এসেছেন মা। যদিও ছেলের যুক্তি মানতে চায়নি আদালত।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের চাপ, ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে ঢোক গেলা শুরু গিরিরাজের!]
বিচারপতিরা বলেন, বৃদ্ধ দম্পতি একসঙ্গেই থাকবেন। তাঁরা কেমন আছেন মাসে মাসে রিপোর্ট দিতে হবে। প্রতিবেশীদের হামলার ভয় থাকলে ছেলে যেন পুলিশের মাধ্যমে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করে। দম্পতির সঙ্গে আজীবন থাকবে আদালত, এই প্রতিশ্রুতি দেন বিচারপতিরা। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ নভেম্বর।