সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেরলের কলেজে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের ‘দাদাগিরি’। ফের কাঠগড়ায় এসএফআই। অভিযোগ, কলেজের অধ্যক্ষকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন সংগঠনটির এক নেতা। ইতিমধ্যে এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। একজন শিক্ষকের প্রতি এহেন আচরণে বয়ে যাচ্ছে নিন্দার ঝড়।
ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের (Kerala) ত্রিচুর জেলার ‘মহারাজাস টেকনোলজিক্যাল ইন্সটিটিউট’ কলেজে। অভিযোগ, ২৭ অক্টোবর কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. পি দিলীপের অফিসে দলবল নিয়ে ঢুকে পড়েন ত্রিচুরের এসএফআই জেলা সম্পাদক হাসান মুবারক। ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে অধ্যক্ষকে হুমকি দিচ্ছেন বামপন্থী ছাত্রনেতা। মুবারককে বলতে শোনা যায়, “আপনি ভেবেছেন কী, পড়ুয়াদের সঙ্গে মস্তানি করবেন। কলেজ থেকে বাইরে আসুন, মেরে হাত-পা ভেঙে দেব। গায়ে আগুন দিয়ে দেব।” এতেই ক্ষান্ত না হয়ে ওই ছাত্রনেতার হুমকি, “আপনাকে সতর্ক করে দিচ্ছি। পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে আপনি যা করছেন তা আর চলবে না। কাল থেকে সম্পূর্ণ নতুন খেলা দেখতে পাবেন।”
[আরও পড়ুন: ‘পড়ুয়া’ সেজে পিঁয়াজ লুঠ উত্তরপ্রদেশে! ব্যবসায়ীদের বোকা বানিয়ে পুলিশের জালে তরুণ]
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কোনও এক ছাত্রকে মারধর করেন অধ্যক্ষ পি দিলীপ। অভব্য আচরণের জন্য ওই পড়ুয়াকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। ২৭ অক্টোবর ওই ঘটনার প্রতিবাদে জমায়েত করে ছাত্র সংগঠনটি। কিন্তু পুলিশ ডেকে সেই প্রতিবাদ মিছিল ভেস্তে দেন অধ্যক্ষ। তারপরই অধ্যক্ষ পি দিলীপের ঘরে ঢুকে পড়েন ছাত্রনেতা মুবারক ও তাঁর দলবল। সেখানে সবার সামনে মুবারকের হুমকি, “ক্যাম্পাসের বাইরে বের হন, দেখাচ্ছি আমি কী করতে পারি। আপনার হাত-পা ভেঙে দেব।”
এদিকে, অধ্যক্ষকে হুমকির ঘটনায় হাসান মুবারক-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে ত্রিচুর ইস্ট পুলিশ স্টেশনে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জামিন যোগ্য ধরায় বেআইনি জমায়েত ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এসএফআই নেতা ও বাকিদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ বলেই খবর।