সুকুমার সরকার, ঢাকা: মধ্যরাতে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বিএনপি চেয়ারপার্সন তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। খুব শীঘ্রই চিকিৎসা করানোর জন্য বিদেশে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সেই ছাড়পত্র দিয়েছে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিদেশে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিও চলছিল। এর মাঝেই গতকাল মাঝ রাতে ফের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। কী হয়েছে তাঁর?
এদিন রাত ১টার দিকে বিএনপি নেত্রীকে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, "মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাতে ম্যাডামকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁর বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সেগুলোর রিপোর্ট পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে মেডিক্যাল বোর্ড।"
[আরও পড়ুন: নমাজ-আজানের সময়ে বন্ধ পুজো! হিন্দুদের ‘অনুরোধ’ বাংলাদেশ সরকারের]
জানা গিয়েছে, হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুদারের নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৭৯ বছর বয়সী এই নেত্রী দীর্ঘদিন লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস ও কিডনি জটিলতা, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস-সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। তাঁর রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় গত বছরের ২৭ অক্টোবর। আমেরিকা থেকে ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে সেই অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তার পর ৫ মাস হাসপাতালে ছিলেন তিনি।
কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ খালেদা। তাঁর বিদেশে চিকিৎসা করানোর বিষয়টি আটকে দেওয়া নিয়ে তৎকালীন হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বহুবার অভিযোগ জানিয়েছে বিএনপি। তবে এবার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন খালেদা। সেখানে তাঁর লিভার প্রতিস্থাপন হওয়ার কথা রয়েছে। গত আগস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন। কয়েকদিন আগেই দীর্ঘ ১৭ বছর পর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সচল করা হয় খালেদা জিয়ার।