সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোথাও ঘুরতে গিয়েছেন কিংবা বহুদিন পর বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ, বিভিন্ন সময়ে সেলফিতে ধরা দেয় এ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা। সেলফি তোলাটাই এখন নয়া ট্রেন্ড। সেই সেলফিতে আবার ফেসবুকে পোস্টও করে দেন সকলেই। বান্ধবীর সঙ্গে তেমনই একটি সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছিল কানাডার এক তরুণী। আর তাতে অপরাধের পর্দাফাঁস! বন্ধুকে খুনের দায়ের জেলে যেতে হল বছর কুড়ির রোজ অ্যান্টোনিওকে।
[পদ্মাপারের ভালবাসা নিয়ে দেশে ফিরলেন প্রণব]
ঘটনাটি ঠিক কী? বছর দুয়েক আগে কানাডার সাসকাটুন শহরে ব্রিটনি গার্গোল নাম তরুণীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, ওই তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বেল্ট পাওয়া যায়। কিন্তু, খুনি কে? তা নিয়ে ধন্দে ছিল পুলিশ। কানাডা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার দিনে বান্ধবী রোজ অ্যান্টোনিওর সঙ্গে মদ্যপান করেছিলেন ব্রিটনি। দু’জনের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটিও হয়। নেশার ঘোরে বান্ধবীকে মারধর করে রোজ। এমনকী, ব্রিটনির গলাও টিপে ধরেছিল সে। কিছুটা সম্বিৎ ফিরে পেতেই পালিয়ে যায় রোজ। অন্য এক বন্ধুর বাড়ি গিয়ে গোটা ঘটনার কথা জানায়। সেই সূত্রে ব্রিটনি খুনের ঘটনায় তাঁর বান্ধবী রোজকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল পুলিশ। জেরায় বন্ধুর মৃত্যুতে নিজের দায় স্বীকার করেছিল বছর কুড়ির ওই তরুণী। কিন্তু, খুনের করার কথা মনে নেই বলে দাবি করে সে। শেষপর্যন্ত, ফেসবুকে মৃত বন্ধুর সঙ্গে তোলা রোজর একটি সেলফি থেকেই খুনের কিনারা করল পুলিশ। খুনের দায়ে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত।
[মাস্টারদা সূর্য সেনের জন্মস্থান ঘুরে দেখলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়]
কিন্তু, রোজ-ই যে খুনি, তা কীভাবে বুঝতে পারলেন তদন্তকারীরা? ঘটনার কয়েক ঘন্টা আগেই ব্রিটনির সঙ্গে নিজের একটি সেলফি ফেসবুকে পোস্ট করেছিল রোজ। তদন্তকারীদের দাবি, সেই সেলফিতে রোজকে কোমরে একটি বেল্ট পরে থাকতে দেখা গিয়েছে। আবার ব্রিটনির মৃতদেহের পাশেও একটি বেল্ট পড়েছিল। সেই বেল্টের সঙ্গে সেলফিটি মিলিয়ে দেখার পর তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন, আর কেউ নয় ব্রিটনিকে শ্বাস করে খুন করেছে তাঁরই বান্ধবী রোজ।
[শত্রুদের বুকে কাঁপন ধরাতে শীঘ্রই আসছে ‘কালো পাখির পুত্র’]