সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালদ্বীপের (Maldives) নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজু শপথ নেবেন শুক্রবার। নির্বাচিত হয়েই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতীয় সেনাকে মালদ্বীপ ছাড়তে হবে। কেননা স্বাধীন দেশ হয়ে উঠতে চান তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে মুইজুর শপথগ্রহণে ভারত থেকে প্রতিনিধি হিসেবে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রিজিজুও। সেই অর্থে মন্ত্রকের কম গুরুত্বপূর্ণ এক মন্ত্রীকে সেদেশে পাঠিয়ে নয়াদিল্লি কড়া বার্তা দিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, মুইজুর নির্বাচনী সাফল্যের অন্যতম কারণ ভারত বিরোধিতা। এটাই তাঁর তুরুপের তাস। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভোটে জিতলে দেশ থেকে সরানো হবে ভারতীয় সেনাকে। জানিয়েছিলেন, “মালদ্বীপ থেকে সমস্ত বিদেশি সেনা সরিয়ে দেওয়া হবে। সামরিক বাহিনীগুলি চায় না তাদের ফেরত পাঠানো হোক। কিন্তু মালদ্বীপের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” সম্প্রতি অবশ্য তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনার বিকল্প হিসেবে নিজভূমে চিনা সেনাকেও চান না তাঁরা।
[আরও পড়ুন: পাঁচ বছর নয়, বিনামূল্যে রেশন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত! কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে ধন্দ]
কিন্তু তাঁর এমন মন্তব্যকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। ‘চিনপন্থী’ মুইজু শেষ পর্যন্ত বেজিংয়ের সেনাকে সরান কিনা সেদিকে লক্ষ রয়েছে সকলের। এদিকে তাঁর শপথগ্রহণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কেন মোদির জায়গায় রিজিজু (Kiren Rijiju), সেটা অবশ্য জানায়নি ভারত। কিন্তু এই পদক্ষেপের পিছনে যে কূটনৈতিক বার্তা রয়েছে, তা মালদ্বীপের বুঝতে অসুবিধা হবে না বলেই নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।