সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংগীতশিল্পী কেকে’র মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁর ভক্তরা। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে এভাবে চলে যাবেন জনপ্রিয় শিল্পী, তা কল্পনার অতীত। শহর কলকাতা, গোটা দেশকে চোখের জলে ভাসিয়ে থেমে গেল কেকে’র গান।
রবীন্দ্র সদনে প্রয়াত সংগীতশিল্পী কেকে-কে (Singer KK) গান স্যালুট দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গায়কের কফিনে মালা দেন তার স্ত্রী জ্যোতি কৃষ্ণা এবং পুত্র নকুল কৃষ্ণা কুন্নথ। বিকেলে কলকাতা থেকে মু্ম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শিল্পীর মরদেহ। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে ভারসোভা এলাকার মুক্তিধাম শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তাঁর।
মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে একটি কলেজের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে গান গাইতেই এসেছিলেন কেকে। অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন শিল্পী। তারপর শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে ফিরে যান। সেখানেই অসুস্থ বোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গে CMRI হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে শিল্পীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
১৯৬৮ সালে দিল্লিতে জন্ম কেকের। শিল্পীর পুরো নাম কৃষ্ণকুমার কুন্নথ। বলিউডে নিজের সফর শুরুর আগে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিজ্ঞাপনের ‘জিঙ্গল’ গেয়েছেন তিনি। মুম্বইয়ে কেরিয়ার শুরুর আগে বেশ কিছুদিন মার্কেটিংয়ের কাজও করেছেন। প্রথমে বিজ্ঞাপন এবং টেলিভিশনেই কাজ শুরু করেন কেকে। তারপর অ্যালবামের কাজে মন দেন।
[আরও পড়ুন: ‘খুব ভেবে কথা বলা উচিত!’ রূপঙ্কর-কেকে বিতর্কে মুখ খুললেন ইমন]
কেকের প্রথম অ্যালবাম ‘পল’ বেশ জনপ্রিয় হয়। ‘ইয়ারো দোস্তি বড়ি হি হাসিন হ্যায়’ গান এখনও তরুণ প্রজন্মের কণ্ঠে শোনা যায়। সিনেমার গানে কেকে-র সফর শুরু হয় এ আর রহমানের সংগীত পরিচালনায়। তবে বলিউডে তাঁর বড় ব্রেক ছিল ‘হাম দিল দে চুকে সনম’। তাঁর কণ্ঠে তুমুল জনপ্রিয় ‘তড়প তড়প কে’ গান। তারপর থেকে একের পর এক ‘হামরাজ’, ‘ওম শান্তি ওম’, ‘দশ’, ‘জন্নত’, ‘বচনা অ্যায় হাসিনো’র মতো সিনেমায় গান গেয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন। শুধু হিন্দি নয়, তামিল, তেলুগু, মারাঠি, কন্নড় এবং বাংলা ভাষাতেও গান গেয়েছেন কেকে। ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে’ এবং ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিতে গান গেয়েছেন কেকে। শিল্পীর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত সংগীত জগৎ। শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।