কেকেআর: ২০৮/৭ (সল্ট-৫৪, রাসেল-৬৪*, নটরাজন-৩২/৩)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ২০৪/৭ (ময়ঙ্ক-৩২, অভিষেক-৩২, হর্ষিত-৩৩/৩, রাসেল-২৫/২)
৪ রানে জয়ী কেকেআর
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্দ্রে রাসেলের চেনা ফর্ম, গৌতম গম্ভীরের মস্তিষ্ক আর শাহরুখ খানের উপস্থিতি। কেকেআরের (KKR) জয়ের জন্য আর কী চাই! এই তিন ম্যাজিকেই হায়দরাবাদ জয় করে নিলেন শ্রেয়স আইয়াররা। অধিনায়ক গম্ভীরের আমলে যে আগুনে মেজাজে দেখা যেত আত্মবিশ্বাসী নাইট শিবিরকে, শনিবাসরীয় ইডেনে এ মরশুমের প্রথম ম্যাচে যেন সেই ঝলকই চোখে পড়ল।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে টস জিতে সাধারণত বিপক্ষকে প্রথমে ব্যাট করতেই পাঠিয়ে থাকেন অধিনায়করা। এদিন বিশ্বকাপ জয়ী প্যাট কামিন্সও তেমনটাই করেছিলেন। কিন্তু ইডেন যেন আজ মনে মনে ঠিক করেই রেখেছিল, শহরবাসীকে দোলের অগ্রিম উপহার দেবে। মারকাটারি ব্যাটিং দিয়ে ইনিংসের শুরুটা করেন ফিলিপ সল্ট। তবে ওপেন করতে নেমে মাত্র ২ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় দলের পুরনো স্তম্ভ সুনীল নারিনকে। ভেঙ্কটেশ আইয়ার, শ্রেয়স এবং নীতীশ রানা দ্রুত আউট হওয়ায় খানিকটা চাপে পড়ে যায় নাইটরা। তবে দলকে খাদ থেকে টেনে তোলেন রমনদীপ সিং (৩৫) এবং রিঙ্কু সিং (২৩)। আর শেষবেলায় ওঠে রাসেল নামক দানবের ঝড়। সাতটি ছক্কা এবং ৩টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অপরাজিত ৬৪ রানের চোখধাঁধানো ইনিংস খেলে দলকে ২০০-র গণ্ডি পার করিয়ে দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: কামব্যাকের দিন জয় অধরা পন্থের, কুরানের চওড়া ব্যাটে দিল্লি-বধ পাঞ্জাবের]
তবে অজি সতীর্থ মিচেল স্টার্ককে হারাতে নাছোড়বান্দা মেজাজ ছিল কামিন্সের হায়দরাবাদেরও। ময়ঙ্ক আগরওয়াল ও অভিষেক শর্মা শুরুটা ভালোই করেছিলেন। এর পর ক্লাসেনের (৬৩) আত্মবিশ্বাসী ইনিংসে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় কেকেআর। আইপিএলের মঞ্চে শেষ ওভারে ১৩ রান তোলাটা কোনও বড় বিষয় নয়। ফলে কার্যত ম্যাচ হাতছাড়া হতে বসেছিল নাইটদের। কিন্তু অন্তিম লগ্নে ত্রাতার ভূমিকায় ধরা দিলেন হর্ষিত রানা। রুদ্ধশ্বাস শেষ ওভারে ক্লাসেন ও শেহবাজের উইকেট তুলে নিয়ে দলকে জিতিয়ে দিলেন তিনি।
তবে রাসেলকে চেনা ছন্দে দেখা গেলেও এদিন কিন্তু একেবারেই নজর কাড়তে পারলেন না ২৪ কোটির স্টার্ক। জয়ের ধারা ধরে রাখতে সুনীল নারিন, শ্রেয়সদেরও দ্রুত ফর্মে ফিরতে হবে। এখন দেখার দ্রোণাচার্য গম্ভীর কীভাবে দলকে ঘষে-মেজে পরবর্তী লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করেন।