shono
Advertisement

রাত পোহালেই ‘ভূত চতুর্দশী’, তেনাদের সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন তো?

জানতে হলে অবশ্যই পড়ুন এই প্রতিবেদন৷ The post রাত পোহালেই ‘ভূত চতুর্দশী’, তেনাদের সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন তো? appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 07:55 PM Nov 04, 2018Updated: 07:55 PM Nov 04, 2018

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূত! শব্দটা শুনলেই শরীরটা কেমন শিউড়ে ওঠে৷ মনে হয়, এই হয়তো পিছনে কেউ দাঁড়িয়ে রয়েছে বা এই হয়তো ঘাড়টা কেউ মটকে দিল বলে৷ তেনাদের দেখতে কেমন? তেনাদের কটা পা, কটা হাত, কটা মাথা বা আদৌ মাথা রয়েছে কিনা? এই সব নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই৷ মনে ভয় থাকলেও, ভূতের গল্প শুনতে বা ভূতের সিনেমা দেখতে ভালবাসেন অনেকেই৷ রাতের অন্ধকারে ভূতের গল্প শুনতে যেমন ভাল লাগে, তেমনই সেই অন্ধকারেই একটা ছায়া দেখলে শরীরটা ছ্যাঁৎ করে উঠে বৈকি৷ আর রাতটা যদি হয় ‘ভূত চতুর্দশী’, তবে বলার অপেক্ষা রাখে না যে এদিন তেনাদের বাড়বাড়ন্তের সম্ভাবনা প্রবল৷ প্রচলিত ধারনায় বা বাংলা মতে বিভিন্ন ধরনের ভূতের নাম চারপাশে কান পাতলেই শোনা যায়৷ মামদো থেকে শাকচুন্নি, ডাইনি থেকে স্কন্ধকাটা নাম শুনলেও, তেনাদের দেখার ইচ্ছা রয়েছে এমন মানুষ পাওয়া দুস্কর৷ কিন্তু অনেকেরই মনে প্রশ্ন রয়েছে, তেনাদের দেখতে কেমন? তেনাদের আলাদা আলাদা নামের কারণ কী?

Advertisement

[এই চতুর্দশীতে কি সত্যিই ভূতেরা আসে?]

পেত্নী: বাংলা মতে পেত্নী হল নারী ভূত৷ অতৃপ্ত আশা নিয়ে বা অবিবাহিত অবস্থায় যে নারীরা মৃত্যুবরণ করেন, তাঁদেরই পেত্নী বলে অভিহিত করা হয়৷ সংস্কৃতের ‘প্রেত্নী’ থেকে উৎপত্তি হয়েছে ‘পেত্নী’ শব্দটির৷ পেত্নীরা সাধারণত মৃত্যুর পরেও খারাপ অভিসন্ধি পূরণে পৃথিবীতে বিচরণ করে। এরা সাধারণত ভীষণ বদমেজাজি হয় এবং কাউকে আক্রমণের উদ্দেশ্য নিয়েই ঘুরে বেরায়৷

শাকচুন্নি: সংস্কৃত শব্দ ‘শাকচুরনী’ থেকে এসেছে প্রচলিত এই ভূতের নামটি৷ শোনা যায় যে, বিবাহিত মহিলারা মৃত্যুর পর এই ভূতের রূপ নেয়৷ সাদা শাড়ি, হাতে শাঁখা-পলা পরিহিত অবস্থায় এরা রাতের অন্ধকারে ঘুরে বেড়ায়৷ অনেক সময় বিবাহিত মহিলাদের উপর ভর করে শাকচুন্নীরা৷ কারণ এদের লক্ষ্যই থাকে সধবা মহিলাদের মতো জীবনযাপন করার এবং স্বামীর সঙ্গে বিবাহিত জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করার।

[আবির্ভাব দিবসে গর্ভগৃহের বাইরে আসেন তারাপীঠের তারা মা]

মেছোভূত: এই ভূত নিয়ে বাংলায় অনেক গল্প প্রচলিত রয়েছে৷ সাধারণত মাছ খেতে ভালবাসে বলে এই ভূতদের ‘মেছোভূত’ নামে অভিহিত করা হয়৷ শোনা যায়, গ্রামের পুকুরের পাশের গাছে, যেখানে বেশি মাছ পাওয়া যায় সেখানে এনাদের বসবাস৷ গ্রামের অন্ধকার রাস্তা বা নির্জন বাঁশবাগানের মধ্য দিয়ে মাছ কিনে ফিরলে এই মেছোভূতদের উপদ্রবের মুখে পড়তে হয়৷ বিশেষ করে গ্রামগঞ্জে এদের উৎপাতের গল্প শুনতে পাওয়া যায়৷

নিশি: ভূত সমাজে সবচেয়ে ভয়ংকর হিসাবে গণ্য করা হয় নিশিকে। প্রচলিত কথায়, কোনও কুচক্রী তান্ত্রিক তার শত্রুকে শায়েস্তা করার জন্য নিশির সাহায্য নেয়৷ গভীর রাতে শিকারকে তার প্রিয় মানুষের গলায় নাম ধরে ডাকে নিশি৷ তাকে বাইরে ডেকে নিয়ে যায়। তাপর আর বাড়ি ফেরে না সেই ব্যক্তি৷ লোককাহিনী মতে, নিশিরা দু’বারের বেশি কাউকে ডাকতে পারে না৷ ফলে বলা হয়, রাতেরবেলা তিনবার নিজের নামে ডাক শুনলে তবেই আওয়াজ করা উচিত৷

মামদো ভূত: হিন্দু মতে, মুসলমান ব্যক্তির অতৃপ্ত আত্মাকে ‘মামদো’ নামে ডাকা হয়। অনেকে এদের ‘জিন’ বলেও ডাকেন৷

স্কন্ধকাটা: স্কন্ধ মানে ‘মাথা’৷ মাথাবিহীন নয় বলে এই ভূতদের ‘স্কন্ধকাটা’ বলা হয়। মাথা কাটা গিয়েছে এমন লোকদের আত্মাই স্কন্ধকাটা ভূতে পরিণত হয়৷ বিশেষ করে রেল দুর্ঘটনায় কাটা পড়েছে এমন ব্যক্তিরা স্কন্ধকাটা ভূতের রূপ নেয়৷ প্রচলিত কথা অনুযায়ী, এই ভূতেরা সবসময় তাদের হারানো মাথার খোঁজ করে৷

[ডুব দে রে মন কালী বলে]

ডাইনি: ‘ডাইনি’ কোনও আত্মা নয়, এরা জীবিত নারী। এরা সাধারণত বৃদ্ধ মহিলা হন৷ এরা ‘কালো জাদু’র সাহায্য নিয়ে বা ডাকিনী বিদ্যার সাহায্যে প্রতিপক্ষের ক্ষতি করে৷ বয়স বাড়লেও ডাকিনী বিদ্যার মাধ্যমে এরা নিজেদের যৌবন ধরে রাখতে পারে৷ ছেলেদের মন ভুলিয়ে নিজেদের ফাঁদে ফেলে৷ প্রচলিত রয়েছে, গ্রামের ছোট ছেলে মেয়েদের ভুলিয়ে নিয়ে যায় এরা৷ তারপর হত্যা করে এবং তাদের রক্ত খেয়ে বছরের পর বছর বেঁচে থাকে।

এছাড়াও গেছোভূত, আলেয়া, বেঘোভূত ও কানাভুলোর মতোও নাম শোনা যায় বাংলা পূরাণে৷ আধুনিক মনস্ক মানুষ বা বিজ্ঞানমঞ্চের কাছে বাস্তবে ভূত বা আত্মার কোনও স্থান নেই৷ তাঁদের মতে, এটা নিতান্তই মানুষের মনের ভুল৷

The post রাত পোহালেই ‘ভূত চতুর্দশী’, তেনাদের সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন তো? appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার