সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের মরশুম শেষ। নির্বাচনের ফলাফলও বেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক বিতর্ক এখনও থামেনি। বরং উত্তেজনার পারদ আরও চড়ছে। অনেক সময় দেখা গিয়েছে রাজনৈতিক এই তর্কবিতর্ক চলে আসে অন্দরমহলে। আর এতেই মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে যায় স্বামী-স্ত্রীর। কিন্তু এসব তো হতে দিলে চলবে না। রাজনৈতিক মতামত কখনও দাম্পত্য কলহের কারণ হতে পারে না। যাতে এমন সমস্যা আপনার জীবনেও না আসে, তার জন্য রইল কয়েকটি টিপস।
কখনও রাজনৈতিক বিষয়কে বিছানায় আনবেন না। ঘুমোতে যাওয়ার আগে বা যখন বিছানায় দু’জনে সময় কাটাচ্ছেন, তখন অন্য কিছু নিয়ে কথা বলুন। সারাদিন কেমন কাটল, ভবিষ্যতে কী কী পরিকল্পনা করবেন, তা নিয়ে আলোচনা করুন। কিন্তু ভুলেও রাজনৈতিক কোনও কথা তুলবেন না। এসব এড়িয়ে যাওয়ার সবচেয়ে ভাল উপায় সোশ্যাল মিডিয়া বিছানায় এড়িয়ে চলুন। রাজনৈতিক কপচানি কাজের সময়ের জন্য তুলে রাখুন।
[ আরও পড়ুন: উদ্দাম যৌনতায় মাততে প্রচুর জল খান, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের ]
যে কোনও মানুষের রাজনৈতিক কোনও ব্যক্তিত্বকে পছন্দ হতেই পারে। স্বামী হয়তো মোদিভক্ত, স্ত্রীয়ের পছন্দ মমতাকে। হতেই পারে। কিন্তু স্বামী বা স্ত্রীয়ের সঙ্গে এই নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়া অর্থহীন। বিশেষ করে পলিটিক্যাল ফিগারকে নিয়ে এমন কোনও কথা বলবেন না যাতে উলটোদিকের মানুষটা দরকারের থেকে বেশি উত্তেজিত হয়ে যায়। সবারই ভিন্ন মত আছে। সেসব তাই ছেড়ে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
একে অপরকে শ্রদ্ধা করুন। এটা কিন্তু খুব জরুরি ব্যাপার। সঙ্গীর হ্যাঁ-তে, হ্যাঁ মেলানোর কোনও দরকার নেই। কিন্তু যদি তা না-ই মানতে হয়, তবে যুক্তি দিয়ে যুক্তি খণ্ডন করুন। উলটোদিকের মানুষটি কী বলছে, তা শুনুন। তারপর নিজের বক্তব্য পেশ করুন। এতে ঝগড়া কম হবে। আর অতি অবশ্যই এই সময় মাথা ঠান্ডা রাখা জরুরি। সবসময় যুদ্ধে জিতে যাওয়াই সবকিছু নয়। তাই কখনও হারতেও শিখুন। অযৌক্তিক কথা একেবারেই বলবেন না।
একে অপরকে স্পেস দিন। নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে ভাবুন। ভাল মুহূর্তগুলো মনে করুন। দেখবেন, পরিবেশ এমনিই বদলে যাচ্ছে। তিক্ততা নিজেই দূরে সরে যাচ্ছে। ভাল থাকার এর চেয়ে ভাল পাসওয়ার্ড আর কী হতে পারে?
[ আরও পড়ুন: পর্নহাবের দুনিয়ায় হটকেকের মতো বিকোচ্ছে দেশি ব্লু ফিল্ম ]
The post রাজনৈতিক মতভেদের জন্য সম্পর্কে তিক্ততা? দাম্পত্য কলহ এড়ান এভাবে appeared first on Sangbad Pratidin.