সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল নীলরতন সরকার হাসপাতাল। ভুল চিকিৎসার অভিযোগে রোগীর বাড়ির লোকেরা জুনিয়র ডাক্তারদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে জরুরি বিভাগের পরিষেবা বন্ধ করে দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বিপাকে পড়েন রোগীরা। বাধ্য হয়েই ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত রোগীকে স্ট্রেচারে করে এজেসি বোস রোডে নিয়ে আসেন অন্যান রোগীর বাড়ির লোকজন। শুরু হয় শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা আটকে বিক্ষোভ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ডিসি ইএসডি দেবস্মিতা দাস। পুলিশি হস্তক্ষেপে ওই রোগীকে ভরতি করা গেলেও দীর্ঘক্ষণ জরুরি বিভাগে কোনও চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজনকে ভরতি নিলেও সন্ধে পর্যন্ত চিকিৎসার কিছুই না হওয়ায় বাধ্য হয়েই এক রোগীকে আত্মীয়রা ইএসআই-তে স্থানান্তর করান। গোটা ঘটনায় জুনিয়র ডাক্তারদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
[শহরে প্রথম ‘মোমো’-র হাতছানি, পুলিশের দ্বারস্থ আতঙ্কিত তরুণী]
রবিবার সকালে তপসিয়ার বাসিন্দা পারভেজ হোসেনকে আনা হয় এনআরএস হাসপাতালে। বুকে ব্যাথা অনুভব করছিলেন তিনি। তখন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন জুনিয়র ডাক্তারা। পরিবারের লোকেদের দাবি, একটি ইঞ্জেকশন দিয়ে পারভেজকে সিটি স্ক্যান করতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভুল চিকিৎসার অভিযোগে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর মৃতের পরিবারের লোকেরা চড়াও হন বলে অভিযোগ। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, তাঁদের মারধরও করেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। ঘটনায় এসআরএস হাসপাতালে জরুরি বিভাগের পরিষেবা ব্যাহত হয়। এদিকে পরিস্থিতি যখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে, তখন আবার নিগ্রহের অভিযোগে জরুরি বিভাগের পরিষেবা বন্ধ করে দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বিপাকে পড়ে অন্য রোগীরা। শেষপর্যন্ত পুলিশি হস্তক্ষেপে ফের পরিষেবা চালু হয় এনআরএসের জরুরি বিভাগে। এথনও পর্যন্ত যা খবর, জরুরি বিভাগে শুধুমাত্র আশঙ্কাজনক রোগীদেরই চিকিৎসা চলছে। পরিস্থিতি এখনও যথেষ্ট থমথমে। হাসপাতালে টহল দিচ্ছে পুলিশ।
[প্রবীণ বিজেপি নেতাদের স্মৃতিতে ভাসলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু]
The post রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে এনআরএসে ধুন্ধুমার, ব্যাহত জরুরি বিভাগের পরিষেবা appeared first on Sangbad Pratidin.