ক্ষিরোদ ভট্টাচার্য: সরকারি আইন ভেঙে বেহালার (Behala) পশ্চিম পুটিয়ারিতে ‘দুয়ারে ভ্যকসিন’ পৌঁছে দেওয়া ক্লাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে সুপারিশ কলকাতা পুরসভার। মহানগরের বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘দ্য ইউনাইটেড ক্লাব’ শিবির করে ভ্যাকসিন দেওয়ার অনুমতি নিলেও বেআইনিভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ করেছে বলে পুরসভা প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে। কারণ, টেকনিক্যালি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ সম্ভব নয় বলে এখনও রাজ্য সরকার ‘দুয়ারে ভ্যকসিন’ প্রকল্প চালু করেনি।
বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক অতীন ঘোষ (Atin Ghosh) জানান, “রাজ্য সরকারের টিকাকরণ আইন লঙ্ঘন করে ওই ক্লাব ‘সম্পূর্ণ বেআইনি’ কাজ করেছে। স্বাস্থ্য দপ্তরই আয়োজকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে।” দু’দিন আগে ওই বেআইনি টিকাকরণের তথ্য পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ও স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশাসককে জানান স্থানীয় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর তথা তৃণমূল পুরদলের মুখ্যসচেতক রত্না শূর।
বেহালার ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পুটিয়ারিতে ক্লাবের তরফে রজত হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি টিকাকরণ করেন। সাংসদ ও বিধায়কের ছবি ব্যবহার করে ওই শিবিরের পোস্টারও করা হয়েছিল। অভিযোগ, আইন ভেঙে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১০/১২ জনকে টিকা দেওয়া হয়। ফেসবুকে সেই টিকা দেওয়ার ছবিও পোস্ট করেন রজতবাবু। স্থানীয় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর রত্না শূর অভিযোগ করেন, “বেআইনিভাবে বাড়ি গিয়ে টিকা দেওয়ায় এখন অন্য বাসিন্দারাও দাবি করছেন তাঁদেরও বাড়ি গিয়ে পুরসভার তরফে ভ্যাকসিন দেওয়া হোক।”
[আরও পড়ুন: ‘সুপার এমারজেন্সির থেকেও ভয়ংকর’, Pegasus প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর]
অভিযুক্ত রজতবাবু বাড়ি গিয়ে ভ্যকসিন দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, “একজন প্রবীণ মানুষকে মানবিক কারণে টিকা দেওয়া হয়েছে। তিনি আবার এক সরকারি চিকিৎসকের বাবা।” তাঁর ফেসবুকে একাধিক বাড়ি গিয়ে টিকাকরণের ছবি সম্পর্কে বক্তব্য, “সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাক হয়েছে, তাই কে কোন ছবি জুড়েছে তা জানা নেই।” কলকাতার সমস্ত ওয়ার্ডে যাতে ‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’ না হয় তার জন্য সতর্ক করা হয়েছে স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর দের। অতীন ঘোষের ব্যাখ্যা, “একটি ভায়াল থেকে যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে টিকাকরণ হয় ও টিকা নেওয়া ব্যক্তিকে অবজারভেশন রাখতে হয় তা ‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’ প্রকল্পে কোনভাবেই সম্ভব নয়।”