অভিরূপ দাস: শহরে ফেরুল পরিষ্কার করতে আর লাগবে না কোনও খরচ। শহর কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডেই ফেরুল পরিষ্কারের ‘চার্জ’ তুলে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এতদিন কলকাতার এক থেকে একশো নম্বর পর্যন্ত ওয়ার্ডে ফেরুল পরিষ্কার করতে কোনও খরচ ছিল না। কিন্তু শহরের সংযোজিত এলাকায় প্রতি ফেরুল পরিষ্কারের খরচ ছিল ১০০ টাকা। খাতায় কলমে তা একশো টাকা হলেও অনেক সময় কয়েক হাজার টাকাও খরচ হতো ফেরুল পরিষ্কারে। আসলে ফেরুল মাটির যত গভীরে ততটা খুঁড়তে হয়। সময় যায় ততো বেশি। সেক্ষেত্রে লেবার চার্জের টাকাও লাগতো বেশি।
[আরও পডু়ন: দলীয় ‘অসন্তোষ’ উড়িয়ে হুগলিতে ফের প্রার্থী লকেট, টিকিট পেলেন সুভাষ-সৌমিত্ররা]
সদ্য শেষ হওয়া কলকাতা পুরসভার বাজেটে পরিকল্পনায় ঠিক হয়েছিল সংযোজিত এলাকায় ফেরুল পরিষ্কারের জন্য একশোর জায়গায় পাঁচশো টাকা নেওয়া হবে। কিন্তু শনিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বাজেটে বইয়ের মধ্যে একটা ভুল ছাপা হয়ে গিয়েছে। সেখানে লেখা ছিল একশো টাকা থেকে পাঁচশো টাকা করা হবে ফেরুল পরিষ্কারের চার্জ। এখন কলকাতাকে আর আলাদা করা হবে না। গোটা কলকাতাই এক। সংযোজিত এলাকায় আর কোনও খরচ লাগবে না।”
কেন আগে অতিরিক্ত খরচ দিতে হতো?
মেয়র জানিয়েছেন, আগে সংযোজিত এলাকার ফেরুল পরিষ্কারের জন্য কাজ করতে হত কন্ট্র্যাক্টরদের দিয়ে। এখন গোটা কলকাতাই একইভাবে কাজ হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডের একেকটি প্রেমিসেস পিছু একটি করে ফেরুল থাকে। যে ওয়ার্ডে যত বাড়ি সেখানে ফেরুলের সংখ্যা তত বেশি। সংযোজিত এলাকায় একের পর এক গগনচুম্বি ফ্ল্যাট উঠছে। এতদিন সেই ফেরুল পরিস্কারের টাকা গুনতে হতো বাসিন্দাদের। মেয়রের ঘোষণায় তার থেকে মুক্তি পেলেন কলকাতার বাসিন্দারা। ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাদল সরকার, জলি মজুমদার ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেয়রকে। অন্যদিকে বাম কাউন্সিলর মধুছন্দা দেব প্রশংসা করেছেন মেয়রের সিদ্ধান্তের। তাঁর কথায়, “ফেরুল পরিষ্কার করার অছিলায় কিছু অসাধু ব্যক্তি আমজনতার কাছ টাকা বাগিয়ে নিতেন। তার সঙ্গে ছিল বারবার রাস্তা খোঁড়াখুড়ি, তার থেকে খানাখন্দ। মেয়রের এই ঘোষণার পর আশা করি তা কমবে।”