অভিরূপ দাস: ফুটপাথ মাপা হবে। যতটা আয়তন তার তিনভাগের একভাগ নিয়েই বসতে পারবেন হকাররা। বুধবার টাউন ভেন্ডিং কমিটির বৈঠক শেষে এমনটাই জানালেন টাউন ভেন্ডিং কমিটির কো চেয়ারম্যান বিধায়ক দেবাশিস কুমার। এদিন টাউন ভেন্ডিং কমিটির বৈঠকে হাজির ছিলেন টাউন ভেন্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান পুর কমিশনার বিনোদ কুমার, বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার, হকার জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির নেতা অসিত সাহা।
ধর্মতলায় গ্র্যান্ড হোটেলের সামনে ফুটপাথ দখল করে নিয়েছে হকাররা। অবস্থা এমনই গেট নজরে পড়ে না হোটেলের। হকাররাজের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল হোটেল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি বেআইনি দখলদার এবং হকারদের সরানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। ছয় সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের সরাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। এদিন বৈঠক শেষে দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, ফুটপাথের তিন ভাগের এক ভাগ নিয়ে বসতে পারবেন হকাররা। শুধু তাই নয়, যদি দেখা যায় যিনি ডালা নিয়েছিলেন তাঁর বর্তমানে কোনও অস্তিত্ব নেই। তার জায়গায় অন্য কেউ বসে আছে সেক্ষেত্রে তাকেও সড়ানো হবে গ্র্যান্ড হোটেল চত্বর থেকে।
[আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালের শৌচাগার থেকে সদ্যোজাতর দেহ উদ্ধার, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন]
নিজের নামে হকার স্টল নিয়ে তা অন্যত্র ভাড়া খাটানোর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তা মেটাতে টাউন ভেন্ডিং শংসাপত্র দেওয়া শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। যাঁর নামে ভেন্ডিং সার্টিফিকেট রয়েছে শুধুমাত্র তাকেই হকারি করার অনুমতি দেওয়া হয়। হকার জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির নেতা অসিত সাহা জানিয়েছেন, ফুটপাথের তিনভাগের একভাগ রেখে বাকিটা পুরো পরিস্কার করতে হবে। যাতে পুজোয় পথচারীরা নির্বিঘ্নে হাঁটাচলা করতে পারেন।
তা বাদ দিয়েও হাই কোর্ট ভেন্ডিং জোন এবং নন ভেন্ডিং জোনের তালিকা চেয়েছে পুরসভার কাছে। শহরের অনেক এলাকাতেই হকার বসে না। যার মধ্যে রয়েছে রেড রোড, উড স্ট্রিটের একাংশ, পার্ক স্ট্রিটের কিছুটা অংশ। মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, সাত দিনের মধ্যে এই তালিকা তুলে দেওয়া হবে হাই কোর্টের কাছে। বউবাজারে মেট্রোর কাজের জন্য বহু হকারকে উঠে যেতে হয়েছে। তা নিয়ে সমীক্ষা শুরু করছে একটি টিম। সেই টিমে রয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে, কলকাতা পুরসভার একজন সদস্য, হকার জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির অসিত সাহা, এবং দেবাশিস দাস। ‘‘মেট্রোর কাজের জন্য যাঁদের রোজগার বন্ধ হয়েছে তাদেরকে পুনর্বাসন দিতে হবে।’’ হকারদের দৈনিক যে আয় হত সেই অনুযায়ী টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। হকার নেতা অসিত সাহা জানিয়েছেন, “২০১৪ হকার আইন অনুযায়ী এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এটা আমরা হাই কোর্টকে জানাব। চিঠি দেব কেএমআরসিএলকেও।”