অর্ণব আইচ: বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি করে মুহূর্তে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিচ্ছে হ্যাকাররা। আর এই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন যুবক-যুবতী থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সকলেই। আর অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করতে না প্রয়োজন হচ্ছে কোনও OTP-র না কোনও এটিএম কার্ড। আধারের বায়োমেট্রিক হাতে এলেই কেল্লাফতে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে এড়াবেন বিপদ? আর বিপদ যদি ঘটেই যায় কীভাবে মোকাবিলা করবেন পরিস্থিতির? কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। যেখানে স্পষ্ট করা হয়েছে, কী করবেন, কী করবেন না।
এইপিএস অর্থাৎ আধার এনেবল পেমেন্ট সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে গোটা দেশে প্রতারণা চালাচ্ছে হ্যাকাররা। এই পদ্ধতিতে খুব সহজে কেবলমাত্র ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডেভেলপের মাধ্যমে আধার কার্ডের সহযোগিতায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া সম্ভব। অ্যাকাউন্ট সাফ রুখতে দ্রুত মোবাইলে এম আধার অ্যাপ ইনস্টল করে বায়োমেট্রিক লক করার পরামর্শ দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
[আরও পড়ুন: মাদ্রিদ পর্ব মিটিয়ে এবার গন্তব্য বার্সেলোনা, ঘণ্টা তিনেকের ট্রেন সফর ‘টিম’ মুখ্যমন্ত্রীর]
AEPS-এর মাধ্যমে প্রতারণা হলে কী করবেন?
- টাকা খোয়া গেলে যত দ্রুত সম্ভব ব্যাঙ্কের শাখায় যান।
- টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশি অভিযোগ দায়ের করতে হবে।
- এটিএমে গিয়ে মিনি স্টেটমেন্ট নিয়ে নিতে হবে। যাতে গ্রাহকের অবস্থান বোঝা যায়। AEPS-এর মাধ্যমে লেনদেনে পয়েন্টে তিনি ছিলেন না তাও প্রমাণ করা যায়।
- কেওয়াইসি দেওয়ার সময় আধার নম্বর ‘মাস্ক’ করে দিতে হবে। যাতে শুধুমাত্র আধার নম্বরের শেষ চারটি নম্বর দেখা যায়।
AEPS প্রতারণা আটকাতে কী করবেন না?
- কেওয়াইসি (KYC) দেওয়ার সময় ‘আন মাস্কড’ আধার নম্বর দেবেন না।
- অচেনা-অজানা ব্যক্তি বা জায়গায় বায়োমেট্রিক দেবেন না।
- AEPS মাধ্যমে টাকা লেনদেনে অনাগ্রহী হলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্কের প্রয়োজন নেই।
- কারণ না জেনে একই প্ল্যাটফর্মে একাধিকবার বায়োমেট্রিক দেবেন না।
- বায়োমেট্রিক দেওয়ার সময় ভেজা বা তৈলাক্ত অবস্থায় আঙুলের ছাপ দেবেন না।