সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাট উপকূল থেকে পণ্যবাহী জাহাজকে তাড়া করে প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধারের ঘটনায় নাম জড়িয়ে গেল কলকাতার। প্রায় ১৫০০ কিলোগ্রাম মাদক পাচারে মূল অভিযুক্ত জাহাজটির ক্যাপ্টেনের বাড়ি কলকাতায় বলে জানা গিয়েছে। কলকাতার এন্টালি থানা এলাকা থেকে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তর সুপ্রীত তিওয়ারির ভাই সুজিতকে আটক করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ।
অভিযোগ, আটক জাহাজটির ক্যাপ্টেন সুপ্রীত তিওয়ারির সঙ্গে তার ভাইও এই মাদক পাচার কাণ্ডে জড়িত রয়েছে। সুপ্রীত ও জাহাজের অন্যান্য কর্মীদের গতকালই গ্রেপ্তার করে গুজরাট পুলিশের হাতে তুলে দেয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। এই পাচার কাণ্ডে সুজিতের অন্তত ১০০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তাকে গুজরাট পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্র জানিয়েছে, মূল অভিযুক্তর ভাই সুজিত তিওয়ারির বয়স ২২। সে বি-টেক পড়ছে। সুজিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই মাদক পাচার চক্রের মাথাদের হদিশ পেতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
শনিবার গুজরাট উপকূলে কার্যত নাটকীয় কায়দায় বিদেশি বন্দর থেকে গুজরাটের পোরবন্দরে অনুপ্রবেশকারী পণ্যবাহী জাহাজকে আটক করে উপকূলরক্ষী বাহিনীর নজরদারি জাহাজ ‘সমুদ্র পাবক’। আটক জাহাজ ‘এমভি হেনরি’ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ হেরোইন। এর আগে একসঙ্গে এত মাদক ভারতে উদ্ধার হয়নি। ইরান থেকে পণ্য নিয়ে আসার অজুহাতে ভারতে এই মাদক নিয়ে আসা হচ্ছিল। দেশের বিভিন্ন শহরে এই মাদক ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের। এই ঘটনায় জঙ্গিযোগও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল যে জলপথে ভারতে বিপুল পরিমাণ মাদক ঢুকতে পারে। সেইমতো গত ৪০ দিন ধরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, পুলিশ, নৌসেনা, শুল্ক ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি জোরদার নজরদারি চালাচ্ছিল। যার ফলে হাতেনাতে ধরা পড়ে গেল এই বিপুল মাদক পাচার চক্র।
[নাটকীয় কায়দায় গুজরাট উপকূলে উদ্ধার ৩৫০০ কোটি টাকার ড্রাগ]
The post গুজরাট মাদক পাচারে ১০০ কোটি টাকা ঢুকত খোদ কলকাতাতেই! appeared first on Sangbad Pratidin.