সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের স্বচ্ছতা সমীক্ষায় সবচেয়ে অপরিচ্ছন্ন শহরে তকমা পেল কলকাতা। বছরের শেষদিন, মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে ‘স্বচ্ছতা সর্বেক্ষণ লিগ, ২০২০’-র রিপোর্ট পেশ করা হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী, দেশের স্বচ্ছতম শহর ইন্দোর। এই নিয়ে টানা চারবছর তালিকার শীর্ষস্থানে রইল মধ্যপ্রদেশের ইন্দে্ার। এদিকে তালিকার একদম শেষে রয়েছে কলকাতা ও হাওড়ার নাম।
‘স্বচ্ছতা সর্বেক্ষণ লিগ, ২০২০’-তে অংশ নিয়েছিল ৪৩৭২টি শহর। অংশগ্রহণকারী শহরগুলিকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল। যে সমস্ত শহরের নূন্যতম জনসংখ্যা ২৫ হাজার, সেই শহরগুলিকে একটি ক্যাটেগরিতে রাখা হয়েছিল। আবার যে সমস্ত শহরের বাসিন্দা ১০ লাখের বেশি, তাদের আরেকটি ক্যাটেগরিতে রাখা হয়েছিল। ক্যান্টনমেন্ট শহরগুলির জন্য আলাদা বিভাগ ছিল। গোটা বছর শহরগুলির স্বচ্ছতা নিয়ে নাগরিকদের মতামতের দিকে নজর রেখেছিল কেন্দ্র। এখনও পর্যন্ত সেই সমীক্ষার দু’টি পর্যায়ের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
[আরও পড়ুন : ২০২০-তে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ ছুঁতে হিমশিম খাবে দেশ, আশঙ্কা মার্কিন অর্থনীতিবিদের]
সেই রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যায়, দু’টি পর্যায়েই শীর্ষস্থানে রয়েছে ইন্দোর। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানের জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। ১০ লাখের বেশি জনসংখ্যার শহরগুলি মধ্যের প্রতিযোগিতায় প্রথম ধাপে (এপ্রিল-জুন) দ্বিতীয় হয়েছিল ভোপাল। পরের পর্যায়ে তাকে টেক্কা দেয় রাজকোট। তৃতীয় স্থানের ক্ষেত্রেও টক্কর ছিল চোখে পড়ার মতো। সুরাটকে সরিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে তৃতীয় স্বচ্ছতম শহর হয় নভি মুম্বই। এদিকে ১০ লাখের বেশি জনসংখ্যার শহরগুলির মধ্যে লড়াইয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের স্বচ্ছতার তালিকার শেষ নাম কলকাতার। হাওড়াও শেষেরদিকেই জায়গা পেয়েছে। ক্যান্টনমেন্ট শহরগুলির স্বচ্ছতার লড়াইয়ে প্রথম হয় দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট। অপরিচ্ছন্ন ক্যান্টনমেন্ট হয়েছে হায়দরাবাদ।
[আরও পড়ুন : নতুন বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর টুইট বার্তায় কাজের খতিয়ান, সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল]
মঙ্গলবার স্বচ্ছতার তালিকা পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানান, “এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করায়, বছরভর শহরগুলির পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রাখতে পুর কর্তৃপক্ষ। নয়তো কেন্দ্রের বার্ষিক সমীক্ষার আগের কয়েক মাসই শুধু পরিচ্ছন্নতা নিয়ে মাথা ঘামাত পুরসভাগুলি।”
The post কেন্দ্রের স্বচ্ছতা সমীক্ষায় অপরিষ্কার শহরের তকমা পেল কলকাতা ও হাওড়া appeared first on Sangbad Pratidin.