অর্ণব আইচ: অনলাইন বিপণির সাদা প্যাকেটটি হাতে আসার পরই যুবতীর মন ভরে উঠেছিল আনন্দে। হাতে পেতে চলেছেন নতুন মোবাইল। খটকা লেগেছিল বাক্সটি দেখে। তবু বিশ্বাস করতে চায়নি মন। কিন্তু বাক্স খুলতেই স্বপ্ন চুরমার। কোথায় ১৩ হাজার টাকার আধুনিক অ্যানড্রয়েড মোবাইল? তার বদলে বাক্সে পোরা রয়েছে ভাঙাচোরা পাওয়ার ব্যাংক। এই বিষয়ে মধ্য কলকাতার জোড়াসাঁকো থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পেশায় ব্যাংক কর্মী ওই যুবতী। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রহস্য। প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে অনলাইন বিপণিকে বিশ্বাস করে মানুষ জিনিস কেনে, সেখানে বিপণির প্যাকেট থেকেই মোবাইল উধাও হয়ে গেল কীভাবে?
[পদপিষ্টের পর এবার চালের বস্তায় চাপা পড়ার আশঙ্কা, আতঙ্কে যাত্রীরা]
পুলিশ জানিয়েছে, বিদ্যা ট্যান্ডন নামে ওই যুবতীর বাবার ওষুধের দোকান রয়েছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে। ব্যাংকের কর্মী বিদ্যা নেট ঘেঁটে একটি মোবাইল পছন্দ করেন। সাধারণভাবে দোকান থেকে কিনতে গেলে ১৬ হাজার টাকার উপর পড়তে পারে সেই মোবাইলটি। কিন্তু একটি নামী অনলাইন বিপণি ঘেঁটে জানতে পারেন ১৩ হাজার টাকার কম দামে পাওয়া যাচ্ছে ওই মোবাইল। পুজোর আগে অর্ডার দিলে দিন বারোর মধ্যেই মোবাইল হাতে এসে যাবে। দীপাবলির আগে তিনি ব্যবহার করতে পারবেন তাঁর নতুন মোবাইল। ছবি তুলে রাখতে পারবেন দীপাবলির প্রত্যেকটি মুহূর্ত। গত ১৩ অক্টোবর যুবতী অনলাইন বিপণিতে মোবাইলটির অর্ডার দেন। বাবার দোকানের ঠিকানা দেন। নির্ধারিত তারিখের দিন তিনেক আগেই চলে আসে সাদা প্যাকেট। তার উপরে যুবতীর নাম লেখা। ভিতরে কী মডেলের মোবাইল রয়েছে, তারও উল্লেখ করা রয়েছে। তখন তিনি অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তাই যুবতী নিজে প্যাকেটটি গ্রহণ করতে পারেননি। পরে এসে তিনি প্যাকেটটি হাতে নিয়ে দেখেন, তা ‘সিল’ করা রয়েছে। তার ভিতর থেকে মোবাইলের বাক্স বের করেন। কিন্তু বাক্সটি দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। তিনি যে মোবাইলের অর্ডার দিয়েছিলেন, বাক্সটি সেই মোবাইল সংস্থার নয়। তবুও তিনি বাক্সটি খোলেন। খুলেই চমকে ওঠেন। ভিতরে মোবাইলের বদলে রয়েছে একটি পুরনো পাওয়ার ব্যাংক। সেটিও বিশেষ কাজের নয়।
[ঠান্ডা হাওয়ার হাত ধরে শীতের আমেজ বঙ্গে, থাকছে বৃষ্টির ভ্রুকুটিও]
তিনি অনলাইন বিপণি সংস্থার সঙ্গে প্রথমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দ্বারস্থ হন পুলিশের। জোড়াসাঁকো থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন যুবতী। এর আগেও শহরে এই ধরনের অপরাধ হয়েছে। অনলাইন বিপণির প্যাকেট খুলে ভিতর থেকে ইটও মিলেছে। পুলিশের ধারণা, অনলাইন বিপণি সংস্থা হয়তো আসল মোবাইলই পাঠিয়েছিল। ডেলিভারির সময় তা খুলে পাওয়ার ব্যাংকের বাক্স পুরে আবার সিল করে দেওয়া হয়েছে, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। পুরো ঘটনাটির তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
The post অনলাইনে বিপত্তি, মোবাইলের বদলে হাতে এল ভাঙা পাওয়ার ব্যাংক appeared first on Sangbad Pratidin.