অর্ণব আইচ: ১৬ বছরেই দশ বার। এর আগেও বিভিন্ন জিনিস চুরি করতে গিয়ে নয় নয় করে অন্তত নয়বার ধরা পড়েছে কিশোরটি। দশমবার চুরি করেছিল বাইক। মনে করেছিল এবার চুরি করে অন্য জেলায় পালিয়ে গেলে বেঁচে যাবে সে। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। জোড়াসাঁকো থানার পুলিশের (Jorasanko Police Station) হাতে ধরা পড়ল ওই নাবালক কিশোর। তাকে জুভেনাইল আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের উপর মহাজাতি সদনের কাছে ফুটপাথে থাকে ওই কিশোরটির পরিবার। ফলপট্টি থেকে শুরু করে কলুটোলা, জোড়াসাঁকো এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় ১৬ বছর বয়সের ওই কিশোর। দিন দু’য়েক আগে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের উপর একটি নামী মিষ্টির দোকানে বাইকে করে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। এলাকায় ক্রমাগত নজর রাখছিল ওই কিশোর। ওই ব্যক্তি দোকানে যাওয়ামাত্রই বাইকটির ‘ঘাড় ভাঙে’ সে। অর্থাৎ লক ভেঙে সেটি হস্তগত করে। এর পর সেটি নিয়ে চলে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। এই ব্যাপারে জোড়াসাঁকো থানায় ওই ব্যক্তি অভিযোগ জানান। পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওই কিশোরকে সন্দেহ করে। কিন্তু এলাকায় তার সন্ধান মেলে না। তার পরিচিতদের টানা জেরা শুরু করেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাতেই তার সোনারপুরের (Sonarpur) ডেরার হদিশ মেলে। ওই ডেরায় তল্লাশি চালিয়ে তাকে ধরা হয়। উদ্ধার হয় বাইকটি।
[আরও পড়ুন: ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে রথযাত্রার অনুমতি চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি বিজেপির]
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, ফলপট্টিতে ফল চুরির মাধ্যমে ওই কিশোর চুরিতে হাত পাকায়। ক্রমে বিভিন্ন বাড়ি ও দোকান থেকে চুরি করতে শুরু করে। এর আগে চুরির অভিযোগেই ন’বার তাকে ধরা হয়েছে। কয়েকবার জুভেনাইল আদালত থেকে ছাড়া পেয়েছে সে। আবার কখনও হোমেও থাকতে হয়েছে কিছুদিন। যদিও ছাড়া পাওয়ার পর সে আবার চুরি শুরু করে। এর মধ্যেই সে এলাকার একজনের কাছ থেকে বাইক চালানো শেখে। যদিও ওই ব্যক্তিও জানতেন না যে, এবার তার মূল লক্ষ্য বাইক চুরি করা। এবার রাতারাতি বড়লোক হতে বাইকটি চুরি করে সোনারপুরে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করার ছক কষেছিল সে। যদিও তার আগেই বাইকটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।