সুব্রত বিশ্বাস: শনিবার সকালে শিয়ালদহ স্টেশনে (Sealdah Station) রেল পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার তিন রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে রয়েছে দুজন নাবালিকা, এক যুবক। তারা কাশ্মীরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।ধৃত যুবকই তাদের নিয়ে যাচ্ছিল। দুই নাবালিকাকে জম্মু কাশ্মীরে পাচারের ছক ছিল বলেই অনুমান। ধৃতদের জেরা করে বাকি তথ্য জানার চেষ্টা করছে জিআরপি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত নাবালিকাদের নাম নূর ফতিমা ও শাবু পনেহার। দুজনই নাবালিকা। তাদের বয়স ১২ বছরের মধ্যে। ধৃত যুবকের নাম আবদুল রহমান। তারা প্রত্যেকেই মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের ভুষিডম এলাকার বাসিন্দা। তবে তারা বাংলাদেশের ইডাভ্যালু আইটেম ক্যাম্পে ছিলেন। আবদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই দুই নাবালিকাকে কাশ্মীরে কোনও এলাকায় কাজের নাম করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই জন্য বাংলাকে করিডর বানিয়েছিলেন।
পুলিশের অনুমান, ভারত-বাংলাদেশের কোনও সীমান্ত পেরিয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করে। সেখান থেকে ট্রেনে শিয়ালদহে আসে। স্টেশন চত্বরে তাদের গতিবিধি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। আটক করতেই জানা যায়, তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে কাশ্মীর যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
কেন কাশ্মীর, কেনই বা বাংলাদেশের ক্যাম্প ছাড়লেন রোহিঙ্গারা? প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, চরম দারিদ্র্য ও বাংলাদেশে অত্যাচারের কারণে কাজের খোঁজে কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল নাবালিকাদের। সত্যি কি কাজের খোঁজ? নাকি নারী পাচার? পিছনে কোনও মানবপাচারকারী চক্র কাজ করছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে জিআরপি। আবদুল কি মিডল ম্যান হিসাবে কাজ করছিল? উঠছে সেই প্রশ্নও। ধৃত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সব তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছে রেল পুলিশ।
উল্লেখ্য, গৃহযুদ্ধে পুড়ছে মায়ানমার। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নতুন ঘটনা নয়। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির থেকে মানবপাচার, দেহ ব্যবসার মতো অভিযোগও সামনে এসেছে। এদিকে বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে ভারতেও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটল।
