ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: এসআইআর ইস্যুতে সুর চড়ালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনি সন্ধ্যায় 'লজিক্যাল ডিসক্রিপান্সি' বা নামে অসঙ্গতি নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে ঘোষণা করলেন, ৩১ ডিসেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। দেখা করবেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সঙ্গে। কোন যুক্তিতে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ মানুষের নাম নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সে সংক্রান্ত জবাব চাইবেন ডায়মন্ড হারবার সাংসদ। শুধু তাই নয়, দিতে হবে এই সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ তালিকাও। অন্যথায় কমিশন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আজ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যে এসআইআরে শুনানি পর্ব। এর মধ্যেই বাংলায় চলা এসআইআর নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, ৫৮ লক্ষ ২০ হাজারের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি আর কতজন রোহিঙ্গা তার তালিকা প্রকাশের দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে একহাত নিয়ে অভিষেকে বলেন, “লজিক্যাল ডিসক্রিপ্যান্সি (অসঙ্গতি) আছে বলে একটা লিস্ট ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার কোনও প্রমাণ নেই। ১ কোটি ৩৬ লাখ মানুষের নামের পদবিতে গোলমাল আছে বলছিলেন।''
সেই তথ্য প্রকাশের দাবি জানিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্ন, ''১৬ ডিসেম্বর, ওইদিনই ওরা বলে দিল অসঙ্গতি রয়েছে। ওদের কাছে কোন জাদুকাঠি রয়েছে যে, ৮০ হাজার বিএলওকে দিয়ে সাত কোটি ডেটা একদিনে যাচাই করে দিল। অসঙ্গতির হিসাব দিয়ে দিল।'' এই সংক্রান্ত তালিকা প্রকাশ না করতে পারলে নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর দিল্লি গিয়ে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে এই সংক্রান্ত জবাব চাইবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। আর তা দিতে না পারলে কমিশন ঘেরাওয়ের ডাক সাংসদের।
বাংলায় এসআইআরের ফলে ৫৮ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে। যা অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেকটাই কম। শনিবার রীতিমতো অঙ্ক কষে অভিষেক বলেন, “তৃণমূল একমাত্র দল যারা এর প্রতিবাদ করেছে। তামিলনাড়ুতে ৭,৭৫ কোটি জনগণের মধ্যে ৫৭.৩০ লক্ষের নাম বাদ গিয়েছে। শতকরা হিসাবে ১২.৫ শতাংশ। গুজরাটে ৯.৯৫ শতাংশ হিসাবে ৬০.৪১ কোটি মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। ছত্তিশগড়ে ৩.১২ লক্ষ। শতকরা হিসাবে ৮.৭৬ শতাংশ। সিপিএমের কেরলে ৩.৬২ কোটির মধ্যে ২৪.৮ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে। ৬.৬৫ শতাংশ হারে নাম বাদ গিয়েছে। বাংলায় ১০.৫ কোটির মধ্যে ৫.৭৯ শতাংশ হারে ৫৮.২০ লক্ষের নাম বাদ গিয়েছে। সুতরাং অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলা সব থেকে কম।”
