স্টাফ রিপোর্টার: শেষপর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তরের হস্তক্ষেপে রোগীণী ভর্তি হল এসএসকেএম হাসপাতালে। প্রায় দুদিনের অপেক্ষার পর নেফ্রলজি বিভাগে ভর্তি হলেন কোচবিহারের বৃদ্ধা।
কোচবিহার থেকে মাকে ভর্তি করার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) এসেছিলেন পলাশ দাশগুপ্ত। পলাশের মা সরোজিনী দাশগুপ্ত কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা লাগামছাড়া। মঙ্গলবার দুপুরে মাকে নিয়ে পিজি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পা রাখতেই শুরু হয় রোগিণীর পরিজনদের প্রাণপন যুদ্ধ। জানিয়ে দেওয়া হয় বুধবার আউটডোরে দেখাতে। এদিকে সরোজিনীদেবীর শরীর ফুলে গিয়েছে। ক্রমশ নেতিয়ে পড়ছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: অবশেষে দানিশ আলির উদ্দেশে করা মন্তব্যে সুর নরম, ‘অনুতপ্ত’, জানালেন রমেশ বিধুরি]
মায়ের এমন অবস্থা দেখে হাসপাতালেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পলাশ। যোগাযোগ করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসের সঙ্গে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তখনই অভিষেকের অফিস থেকে এসএসকেএমের এমএসভিপি পীযুষকান্তি রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু ওইদিন অপেক্ষা করেও মাকে ভর্তি করতে পারেননি পলাশ। বুধবারও শয্যার অভাবে পলাশের মাকে ভর্তি করা হয়নি। পলাশ (Palash Dasgupta) জানিয়েছেন, তিনি উপাধ্যক্ষর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁর অফিস থেকে বলা হয় সাতদিন পরে আসতে। হাতাশায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘বিহারের চেয়ে তেলেঙ্গানার DNA ভালো’, রেবন্তের মন্তব্যে বিতর্ক, ‘দেশভাগের চেষ্টা’, তোপ BJP-র]
খাস কলকাতার মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ক্রনিক কিডনি রোগিণী টানা দু’দিন চিকিৎসা না করে পড়ে থাকার ঘটনায় পলাশ হতাশ হয়ে পড়েন। তবে শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি জানতে পারেন মাকে নেফ্রোলজি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত সেখানেই ওই রোগিণীর চিকিৎসা চলছে। সেটা সম্ভব হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের হস্তক্ষেপেই।