সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে প্যাটিস বিক্রেতাকে মারধরের প্রসঙ্গে বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে, সেই আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, "এখন চিকেন প্যাটিস বিক্রি করছে বলে তাঁকে মারছে বিজেপি। এরা বাংলায় ক্ষমতায় এলে কী করবে?" এরপরই বলেন, "প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং মাছ খাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।"
তাঁর আরও কটাক্ষ, "কে কী বিক্রি করবে চাউমিন না চিকেন প্যাটিস দিল্লির বাবারা ঠিক করবে?" পাশাপাশি হিন্দুত্ব নিয়ে বিজেপির রাজনীতিকেও কড়া ভাষায় বিঁধে বলেন, "রাম মন্দির হয়ে গেছে জয় শ্রীরাম বন্ধ! যে রাম দুর্গার পুজো করেছিলেন সেই দুর্গার পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।" তাঁর বক্তব্য, "গীতা পাঠ, রাম ভক্তি ধর্ম এসব বাড়িতে করুন।"
প্রসঙ্গত বলে রাখা দরকার, লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমিষ-নিরামিষ মন্তব্যে জলঘোলা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, নবরাত্রি বা শ্রাবণ মাসে মাছ-মাংস খাওয়া মুঘলদের মানসিকতা। বিঁধেছিলেন রাহুল গান্ধী, লালুপ্রসাদ যাদবকে। এসআইআর নিয়ে বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ উঠে এল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে প্যাটিস বিক্রেতাকে মারধরের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং মাছ খাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এখন গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে চিকেন প্যাটিস বিক্রি করছে বলে তাঁকে মারা হচ্ছে। অথচ গীতার একটা শ্লোক বলতে পারবে না।"
নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে বঞ্চনা করছে বলে আরও একবার অভিযোগ করেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, "শুধু জলের টাকা, আবাসের টাকা, ১০০ দিনের টাকা, রাস্তার টাকা আটকে ওরা বসে নেই। মানুষের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। এখন দেশটাকে বিজেপি এবং মোদি সরকার এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছে যে, কে ভোট দেবেন তা ঠিক করে দিচ্ছে সরকার। তৃণমূল একমাত্র দল, যারা মানুষকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।’’
সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, বাংলার মানুষের ভোটে নির্বাচিত বিজেপির বিধায়করা কেন বাংলার বঞ্চনা নিয়ে প্রশ্ন করেন না? অভিষেক বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ভোট দিয়ে যে সব বিজেপি বিধায়ক-সাংসদদের বেছেছেন, তাঁরা কেন কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা নিয়ে একটাও প্রশ্ন করে না?"
