সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: রূপ, গাত্রবর্ণ নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে দ্রৌপদী মুর্মুকে অবমাননাকর ভাষায় আক্রমণ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলর বিধায়ক অখিল গিরি (Akhil Giri)। সে বিতর্কের রেশ থামাতে আসরে নামতে হয়েছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি দলের বিধায়কের হয়ে করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। রাজনৈতিক কার্যকলাপে অখিল গিরিকে সতর্ক করা হয়েছিল, বিশেষত মুখ খোলার ক্ষেত্রে। তার পর দীর্ঘদিন বিতর্ক থেকে দূরে ছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি ফের রাজ্যপালের ‘কলঙ্কে’র কথা উল্লেখ করে নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন অখিল গিরি। এর প্রতিবাদে মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে বরখাস্তের দাবি করে রাজ্যপালকে চিঠি পাঠালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গোটা বিষয়টি নিয়ে ফের নতুন জট রাজ্য রাজনীতিতে।
গত ৪ তারিখ কাঁথির (Kanthi) এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। সেইসঙ্গে তাঁর নিশানায় ছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose)। অখিল গিরি বলেন, ”কেন রাজ্যপাল কুণাল ঘোষের পুজোয় গিয়েছিলেন, আমরা কি জানি না? কেন উনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান, আমরা জানি না? তোমার হোয়াটসঅ্যাপে কী আছে, আমরা জানি। তোমার কলঙ্ক আমরা ধরব, ছাড় পাবে না। আমাদের কাছেও আইবি আছে।”
[আরও পড়ুন: খাদ্যদপ্তর বলছে এক, ডিলাররা বলছেন আরেক! ‘হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে’ আমজনতার রেশন]
তাঁর এহেন কুরুচিকর ভাষা প্রয়োগের প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দু পাতার চিঠিতে তিনি রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের উদ্দেশে রাজ্যের মন্ত্রীর এই অশালীন ভাষায় আক্রমণের প্রবল প্রতিবাদ করে দাবি তুলেছেন, মন্ত্রিসভা থেকে অখিল গিরিকে বরখাস্ত করা হোক। সেই চিঠি তিনি X হ্যান্ডলেও প্রকাশ করেছেন, সঙ্গে অখিল গিরির বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ।
[আরও পড়ুন: বারাণসীর আদলে এবার কলকাতায় দেব দীপাবলি পালন, আমন্ত্রিত মুখ্যমন্ত্রী]
তবে বিরোধী দলনেতার এই আচরণ মোটেই ভালোভাবে নেয়নি শাসকদল। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja) বলেন, ”কে কার প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করেছেন, তা নিয়ে ওঁর বলা মানায় না। কারণ, উনি নিজেই মুখ্যমন্ত্রীকে আপত্তিকর সম্বোধন করেছেন। আমাদের আরেক মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, তাঁর জাত নিয়েও বিশ্রী মন্তব্য করেছেন। সুতরাং, তাঁকে ভাবতে হবে না, অসম্মান কে কাকে করেছে।”