অর্ণব আইচ: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তি বাড়ল সিবিআইয়ের। এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির তদন্তকারী আধিকারিককে শোকজ করল আলিপুরের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। অভিযোগ, রাজ্যের তরফে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের দেওয়া হয়। তা আলিপুর আদালতকে না জানিয়ে হাই কোর্টে যায় সিবিআই।

বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, "এই মামলায় প্রথম থেকেই সিবিআই অসহযোগিতা করছে। গত ২৭ জানুয়ারি রাজ্যের তরফে চার্জ গঠনের অনুমতি পায়। তারপর তিনদিন কেটে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও আদালতে কিছুই জানানো হয়নি।"
একথা শুনে বিরক্ত হন বিচারক। সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক মণীশ উপাধ্যায়কে এই প্রসঙ্গে বিচারক বলেন, "হাই কোর্ট জানতে পারল কিন্তু ট্রায়াল কোর্ট জানল না? ট্রায়াল কোর্টকে বাইপাস করে হাই কোর্টে যাচ্ছেন?" শুক্রবারের মধ্যে চার্জ গঠন সংক্রান্ত সমস্ত নথিপত্র আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশও সিবিআইকে দিয়েছেন বিচারক। আগামী সাতদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে সিবিআইকে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ আগস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার ১৬২ দিনের মাথায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদহ আদালত। তার দুদিন পর সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেন বিচারক। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন নিয়ে উত্তেজনার মাঝে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়ায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। সেই অভিযোগে বর্তমানে সিবিআই হেফাজতেও রয়েছেন তিনি।