রুপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বাংলায় দাঁড়িয়ে লোকসভায় ৩৫ আসনের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু দলের যা পরিস্থিতি তাতে তার ধারেকাছে পৌঁছানো যাবে না। তাই বাধ্য হয়ে বঙ্গ বিজেপিকে (BJP) রামের ভরসায় ছেড়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের সোশাল মিডিয়া কর্মীদের শাহ বলে গেলেন, বেশি করে প্রচার করতে হবে রাম মন্দির নিয়ে।
এদিন ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে বিজেপির সোশাল মিডিয়া কর্মীদের সঙ্গে একটি আলোচনাসভায় যোগ দেন শাহ (Amit Shah)। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। সোশ্যাল মিডিয়া স্বেচ্ছাসেবকদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) নির্দেশ, রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যুর পাশাপাশি প্রচারে বেশি বেশি করে তুলে আনতে হবে রাম মন্দির ইস্যু। রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে হাতিয়ার করে হিন্দুত্বের জিগির তোলার চেষ্টায় কোনও কসুর করবে না বিজেপি।
[আরও পড়ুন: লোকালয়ে ঢুকে পাঁচিলে বসে রোদ পোহাচ্ছে বাঘ! আতঙ্কে কাঁটা স্থানীয়রা, ভিডিও ভাইরাল]
এছাড়া সোশাল মিডিয়া কর্মীদের উদ্দেশে শাহ-নাড্ডাদের বক্তব্য, কেন্দ্রের জনমুখী প্রকল্পগুলি আরও বেশি করে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। রাজ্যে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মন্ত্রী জেলবন্দি, দুর্নীতি নিয়ে আরও সরব হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শাহ। তাঁর বার্তা, পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম রাজ্যের শাসকদলের দুর্নীতি নিয়ে বেশি সরব নয়, এই কারণে সোশ্যাল মিডিয়াকে আরও বেশি ব্যবহার করতে হবে। আর অবশ্যই বেশি করে প্রচার করতে হবে রাম মন্দির নিয়ে।
[আরও পড়ুন: পাক নির্বাচনে মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী হাফিজ সইদ! মৌলবাদীদের দখলে যাবে ইসলামাবাদ?]
রাজ্য নেতাদের ব্যর্থতা নিয়ে একাধিক অভিযোগের পাশাপাশি তাদের পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ শাহ। সূত্রের খবর, রাজ্য নেতাদের ভুলভাল রিপোর্টিংয়ে বাংলায় লোকসভা ভোটের অঙ্ক কার্যত গুলিয়ে যাচ্ছে শাহ-নাড্ডাদের। আদি বিজেপির একাংশ মনে করছে, আজকের বৈঠকে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের পারফরম্যান্স নিয়ে বিরক্তি ও ক্ষোভ উগরে দিতে পারেন শাহ-নাড্ডা দু’জনেই। পাশাপাশি গত মাসেই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে তাঁর জনসভায় জনসমাগম ‘ফ্লপ’ হওয়াতেও যথেষ্ট ক্ষুব্ধ অমিত শাহ। তাই বছর শেষে রাজ্যে কোনও প্রকাশ্য সমাবেশে অনুমতি দেননি। রাজ্য নেতাদের ভাবগতিক দেখে শেষ পর্যন্ত সোশাল মিডিয়ায় রাম মন্দিরের জোরদার প্রচার করার বার্তা দিয়ে গেলেন শাহ।