সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবারে ‘রবি’স্মরণ। কোভিড পরিস্থিতিতেও ১৬০ তম রবীন্দ্রজয়ন্তী (Rabindra Jayanti) উদযাপনের আয়োজন করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে তা একেবারেই অনাড়ম্বর, পুরোটাই ভারচুয়াল। রবিবার বিকেল রবীন্দ্রসদনের সেই ভারচুয়াল অনুষ্ঠানই যেন বদলে দিল সারাদিনের ঝিমিয়ে পড়া আবহ। বৃষ্টিভেজা বিকেলে বিশ্বকবির গানে, কবিতায় তাঁকেই স্মরণ করলেন বিশিষ্টরা। তবে অনুষ্ঠানের চমক অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রীর গলায় দু-এক কলি গান। বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে গলা মিলিয়ে ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায়’ গানটি সামান্যই গাইলেন তিনি। মহামারীর আঁধারে এই গানই নিয়ে আসুক আলোর বার্তা, সেই প্রার্থনাই যেন প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। গানের আগে অবশ্য রবীন্দ্রসদনে কবিগুরুর মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
২৫ বৈশাখ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) জন্মদিন।করোনার (Coronavirus) চোখরাঙানিই হোক কিংবা অন্য কোনও কারণ, আড়ম্বরে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালিত নাই হতে পারে, আন্তরিক শ্রদ্ধাজ্ঞাপন তো তাতে বাধা পায় না। ২০২০ সালের পর ২০২১-এও সেই একই পরিস্থিতি। মহামারীকালে ভারচুয়াল অনুষ্ঠানে কবিপ্রণামের আয়োজন করেছে নবনির্বাচিত রাজ্য সরকার। কিন্তু অন্তরের শ্রদ্ধায় আপাত জৌলুসহীন অনুষ্ঠানও হয়ে উঠল অনন্য, আকর্ষণীয়। বাড়িতে বসেই রবিস্মরণে গান গাইলেন শিল্পী নচিকেতা, লোপামুদ্রা মিত্র, অদিতি মুন্সি, সৌমিত্র রায়, অরুন্ধতী রায়রা। বিশ্বকবির কবিতা পাঠ করলেন জয় গোস্বামী।
[আরও পড়ুন: টিকার সংকট কাটাতে মোটা টাকার বিনিময়ে ২ লক্ষ কোভ্যাক্সিন কিনল রাজ্য]
এদিন সকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে রবি ঠাকুরের মূর্তিতে মালা পরিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। সে অর্থে মুখ্যমন্ত্রীর সশরীরে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন রবীন্দ্রসদনের এই সরকারি অনুষ্ঠানেই। এদিন বিকেল চারটে নাগাদ সেখানে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব এইচ কে দ্বিবেদী, কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র এবং ইন্দ্রনীল সেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে একে একে রবিঠাকুরের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান। এরপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী জানান এভাবে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান করতে হচ্ছে শুধুমাত্র করোনার কারণে। বিশ্বজনীন রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আরও একবার নিজের আবেগের কথা বলেন তিনি। পরে একে একে নিজেদের বাড়িতে বসে গানে, কবিতাপাঠে রবিস্মরণ করেন সাংস্কৃতিক জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে আগাগোড়াই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।