বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: রাজ্যস্তরে নয়। বামেদের সঙ্গে জোট করার দায়িত্ব জেলা নেতৃত্বের ওপর ছেড়ে দিল প্রদেশ কংগ্রেস (Congress)। শনিবার পুরসভা ভোটের প্রস্তুতি সারতে কলকাতা ও হাওড়া জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। যেখানে প্রার্থী পাওয়া যাবে না, সেখানে নিচুতলায় বামেদের সঙ্গে কথা বলা যেতে পারেই বলে জানান অধীর। সেই সঙ্গে কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest) নিয়ে তৃণমূলের (TMC) দাবির কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
নিচুতলার নেতৃত্বের মনোভাব বুঝতে এদিন বিধানভবনে দুই জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রদেশ সভাপতি। বৈঠকে কার্যত তৃণমূল প্রসঙ্গে হাইকমান্ডের নীরবতা নিয়ে তোপের মুখে পরতে হয় অধীরকে। জেলা নেতাদের অভিযোগ, বাংলার পর অন্য রাজ্যেও বিজেপিকে (BJP) সুবিধা করে দিতে কংগ্রেসকে দুর্বল করার খেলা চলছে। তারপরেও কেন হাইকম্যান্ড নীরব? সেই প্রশ্ন তোলেন দুই জেলার নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: ‘লোকসভায় ৩-৪ আসন পাবে বিজেপি’, ফাঁস সৌমিত্র খাঁর বিস্ফোরক অডিও]
প্রদেশ নেতারা দিল্লি গিয়ে হাই কমান্ডের কাছে বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হওয়ার দাবিও ওঠে বৈঠকে। জেলা নেতাদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে কৃষি আইনকে (Farm Laws) অধীর হাতিয়ার করেন বলে বিধানভাবন সূত্রে খবর। কৃষি আইন নিয়ে সংসদের ভেতরে-বাইরে তৃণমূলের ভূমিকা সম্পর্কে হাই কমান্ড ওয়াকিবহাল বলে জানান প্রদেশ সভাপতি। কয়লা ও নারদ তদন্ত সিবিআই কেন বন্ধ করে রেখেছে, হাই কমান্ডকে সেই বিষয়ে জানিয়েছেন বলে জানান।
তবে পুরভোটে (KMC) যে বামেদের সঙ্গে জোট করে লড়াই হবে না এদিন তা স্পষ্ট করেন অধীর চৌধুরী। জানান, বামেদের পক্ষে কেউ কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তাই কংগ্রেস একক লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনিও যে আগ বাড়িয়ে জোটের প্রস্তাব দেবেন না তাও জানিয়ে দেন। কলকাতায় দুই দলীয় কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক ও প্রকাশ উপাধ্যায়কে ফের তাঁদের ওয়ার্ডেই মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন লোকসভায় কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেতা অধীর চৌধুরী।