সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টুইটে রোজই রাজ্য সরকারের নানা ত্রুটি-বিচ্যুতিকে প্রকাশ্যে আনেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। নভেম্বর মাসে দার্জিলিং পাহাড়ে ছুটি কাটানোর সময়েও এর ব্যতিক্রম ঘটছে না। বুধবার দুপুরে কালিম্পংয়ে তাঁর সাংবাদিক বৈঠক করার কথা। তবে তার আগে সকালেই রাজ্যের বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগলেন প্রশাসনিক উদাসীনতা নিয়ে। এবার ধনকড় বাংলার কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তুলে ধরলেন তাঁদের প্রতি বঞ্চনার কথা। টুইট করে তাঁর অভিযোগ, এ রাজ্যের কৃষকরা প্রত্যেকে কেন্দ্রের দেওয়া ১২০০০ টাকা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাচ্ছেন না। এভাবে ক্ষতি হয়েছে মোট ৮৪০০ কোটি টাকার। প্রশাসনিক উদাসীনতাই এর জন্য দায়ী।
একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের মানুষজন, তা নিয়ে আগেও কয়েকবার নিজের আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন ধনকড়। তার মধ্যে কৃষকদের কথাও উল্লেখ করেছিলেন। ফের তা উল্লেখ করে বোঝালেন, তিনি যে এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন, তা কার্যত নিষ্ফলাই রয়ে গিয়েছে। কৃষকরা নিজেদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি কেন্দ্রের বরাদ্দ আর্থিক সাহায্য না পাওয়ায় তিনি কতটা ব্যথিত হচ্ছেন, তাও বোঝালেন।
[আরও পড়ুন: শীতের কলকাতায় করোনার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা, খুলছে আরও ৫০টি কোভিড পরীক্ষা সেন্টার]
এদিন আরও একটি টুইটে রাজ্যপাল মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি-কে বিঁধেছেন। নাম উল্লেখ করেছেন রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুরজিৎ করপুরকায়স্থ এবং রিনা মিত্রের। তাঁর অভিযোগ, মমতা সরকারে আমলে পুলিশ নিয়ম ভাঙছে। তারা নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে বলে মনে করছে, যা অত্যন্ত হতাশাজনক।
এ রাজ্যে রাজভবন এবং নবান্নের সংঘাত এখন নিত্যদিনের বিষয়। রাজ্য সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরে দৃষ্টি আকর্ষণ তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলে মনে করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আবার নবান্নের অভিযোগ, রাজ্যপাল নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক বিষয়ে অযথা নাক গলান। ফলে উভয়ের দ্বন্দ্ব জিইয়ে থাকছে। রাজ্যপালের সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এখানকার পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে। তাঁদের গাফিলতিতে রাজ্যে বহু অপরাধ খুব সহজেই সংঘটিত হতে পারছে বলে অভিযোগ ধনকড়ের। এদিনও একাধিক টুইটে নিজের সেই মতামত তুলে ধরলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।