সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্মসংস্থানে বাংলা অনেকটাই এগিয়ে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ক্রমশ এগোচ্ছে রাজ্য। নীতি আয়োগের রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে নিজে এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়েছেন। রাজ্যের বাসিন্দাদের অভিনন্দনও জানিয়েছেন তিনি।
নীতি আয়োগের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গের বার্ষিক বেকারত্বের হার ছিল মাত্র ২.২ শতাংশ। এই অনুপাত দেশের গড় বেকারত্ব ৩.২ শতাংশের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কম। এই রিপোর্ট অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবর রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করছেন। বেকার সংখ্যা কম করা, যুব সম্প্রদায়ের হাতে কাজ তুলে দেওয়া, গ্রামের মহিলাদের কাজের মধ্যে এগিয়ে আনার বার্তা বরাবর দেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়নের জন্য বাংলায় একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পও চলছে। আগেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রুপশ্রী, যুবশ্রী-সহ একাধিক প্রকল্প দেশের মধ্যে নজর কেড়েছে। এবার নীতি আয়োগের রিপোর্ট রাজ্যের কর্মসংস্থানের বার্তাকে আরও মজবুত করল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
রিপোর্টে আরও একাধিক ইতিবাচক পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, বাংলায় সাক্ষরতার হার ২০১১ সালের তথ্য অনুসারে ৭৬.৩ শতাংশ। সেখানে দেশের সাক্ষরতার হার ৭৩ শতাংশ। শিক্ষাক্ষেত্রেও সাফল্যের কথা উঠে এসেছে। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে জাতীয় গড়ের তুলনায় রাজ্যে পাশের হার বেশি। পাশাপাশি স্কুলছুটের হারও কম। ২০২০ সালের তথ্য অনুসারে রাজ্যের বাসিন্দাদের আয়ুকাল ৭২.৩ বছর, যা জাতীয় গড়ের তুলনায় বেশি। প্রতি হাজার পুরুষে ৯৭৩ শিশুকন্যা জন্মায় বাংলায়। এক্ষেত্রে দেশের কন্যাসন্তান জন্মানোর সংখ্যা ৮৮৯। শিশুমৃত্যুর হার ২০২০ সালের হিসেবে প্রতি হাজারে ১৯। পানীয় জলের মতো পরিকাঠামোতেও রাজ্যে উন্নতি করছে বলে খবর।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, এই সাফল্য রাজ্যের উন্নয়নের প্রতি দায়বদ্ধতারই প্রমাণ। রাজ্যের মানুষ এই উন্নয়নের অংশীদার। রাজ্যের বাসিন্দাদেরও আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
