রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পঞ্চায়েত ভোটে (Bengal Panchayat Election) নিচুতলায় বিরোধীদের রামধনু জোট নিয়ে শাসকদলের অভিযোগকে সিলমোহর দিল বিজেপি। এই রামধনু জোটের কথা কার্যত স্বীকার করে নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এ প্রসঙ্গে সুকান্তর বক্তব্য, “নিচুতলায় রামধনু জোট হয়। এক্ষেত্রে উপরতলায় রাজ্য নেতৃত্বের কিছু করার নেই। যাকে শত্রু মনে করে মানুষ, তার বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়াই করে। এটা নিচুতলার সমঝোতা। সিদ্ধান্ত তাদের উপর ছেড়ে দিই। জোড়াজুড়ি খাটাই না।”
পঞ্চায়েত ভোটে নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে জোট বেঁধে প্রচারে নেমেছে বিজেপি-বাম ও কংগ্রেস। দেওয়াল লিখন ও হোর্ডিংয়ের প্রচারে শুধু নয়, পাড়ায় পাড়ায়, বাড়ি বাড়ি বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে ঘুরছেন সিপিএমের প্রার্থী। উলটোদিকে, কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে ভোটারদের কাছে হাতজোড় করে সমর্থন করার আরজি জানাচ্ছেন পাশের বুথে দাঁড়ানো পদ্ম প্রতীকের প্রার্থীরা। এবার পঞ্চায়েত ভোটে বিভিন্ন জায়গায় এই ছবি দেখা যাচ্ছে। বিরোধীদের এই রামধনু জোট নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসেও। সেই প্রসঙ্গেই শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করা হলে তা স্বীকার করে নেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। যদিও তাঁর দাবি, “কোনও ঘোষিত জোট নেই। কারণ, বিজেপির নীতি-মতাদর্শ আলাদা। নিচুতলায় কোথাও কোথাও হয়তো হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: স্বামীর রোষে বাদ পড়েছিল কব্জি, কৃত্রিম হাতে লিখেই নির্মমতার কাহিনি মলাটবন্দি করলেন রেণু]
এদিন মিট দ্য প্রেসে আবার সুকান্তর দাবি,”আঠারো সালের নিরিখে এবার বিজেপি উত্তরবঙ্গ, রাঢ়বঙ্গ ও নবদ্বীপ জোনে ভাল ফল করবে। বেশ কয়েকটি জেলা পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বিজেপি।” এপ্রসঙ্গেই ত্রিশঙ্কু হলে বোর্ড গড়ার ক্ষেত্রে বাম-কংগ্রেসের সাহায্য নেওয়ার বিষয়টিও উড়িয়ে দেননি। যা রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ। বহু জায়গায় দলের গোঁজ প্রার্থীদের বিষয়টিও এদিন স্বীকার করে সুকান্ত বলেন, গোঁজ প্রার্থীদের জেলাস্তরে শোকজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিজেপি ৪৬ হাজারের মতো প্রার্থী দিয়েছে। বাধা তুলনামূলক কম, একথাও এদিন স্বীকার করেছেন তিনি। বাংলায় নির্বাচনে হিংসার ঘটনায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিজেপিরও দায় রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। আবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে তথ্য তুলে ধরে সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ন’বছরে নরেন্দ্র মোদি সরকার বাংলাকে সাড়ে ৩ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছে।’’