রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: নতুন রাজ্য কমিটি গঠন, তারপর বঙ্গ বিজেপির (BJP) অন্দরে ‘বিদ্রোহে’র চড়া সুর, বিধায়কদের একে একে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (WhatsApp) ত্যাগ। এই সংঘাতের আবহে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা বিএল সন্তোষ (BL Santosh)। এই বৈঠকে ডাক পেয়েছেন সমস্ত জেলা সভাপতি, জেলা ইনচার্জ এবং সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। বৈঠকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে সাংসদদেরও। সূত্রের খবর, বৈঠকে ‘বিদ্রোহী’ নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে দলের অন্দরে অসন্তোষ মেটানোর জন্যই বিএল সন্তোষ এই বৈঠকে বসছেন বলে খবর।
সোমবার বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটির সম্মেলন এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন ) বি এল সন্তোষের নেতৃত্বে এই বৈঠকে জেলা, বিভাগ ও সমস্ত সাংগঠনিক নেতৃত্বকে বৈঠকে অংশ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। থাকবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ বিজেপির শীর্ষ নেতারাও। তবে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর যিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, তাঁর উপস্থিতি নিয়ে সংশয় রয়েছে। হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায়ও বৈঠকে থাকবেন কি না, তাও নিশ্চিত নয়।
[আরও পড়ুন: বাঁশের মতো মেরুদণ্ড! বিরল সমস্যা থেকে হুগলির যুবককে বাঁচাল সরকারি আয়ুর্বেদ হাসপাতাল]
গত কয়েকদিন ধরে বঙ্গ বিজেপিতে প্রবল অসন্তোষের পরিবেশ। নতুন রাজ্য কমিটিতে ঠাঁই হয়নি পুরনো কর্মকর্তকাদের, এই অভিযোগে ক্ষুব্ধ দলের অনেক নেতাই। প্রতিবাদ স্বরূপ মতুয়া (Motua) সম্প্রদায়ের ৫ বিধায়ক দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন শনিবার। সূত্রের খবর, বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর নিজেও এ নিয়ে ক্ষুব্ধ। তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার (JP Nadda) কাছে মতুয়াদের ‘বঞ্চনা’ নিয়ে নালিশ করেন বলে খবর। এই রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার বাঁকুড়ার ৫ বিধায়কও একই পথে হেঁটে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসেন। রবিবারই আবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন জলপাইগুড়ির নেতা ধরতিমোহন রায়।
[আরও পড়ুন: নিজের মেয়েকেই ধর্ষণ বাবার! থানায় নালিশ করলেন মা]
এই পরিস্থিতিতে বিএল সন্তোষের বৈঠক বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। বিদ্রোহীদের কী বার্তা দেন তিনি, সেদিকে তাকিয়ে সকলে। এছাড়া নতুন রাজ্য কমিটি নিয়ে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তা সমাধানেও কেন্দ্রীয় নেতা কী পদক্ষেপ নেন, তাও দেখার। তবে তারও আগে সোমবার বিএল সন্তোষের ডাকে সাড়া দিয়ে বিদ্রোহী বিধায়কদের ক’জন উপস্থিত থাকেন, সেটাই দেখার।